মধ্যরাতেও জমজমাট কুমিল্লার ঈদ বাজার
বাংলাদেশ

মধ্যরাতেও জমজমাট কুমিল্লার ঈদ বাজার

শেষ সময়ে জমে উঠেছে কুমিল্লার ঈদ বাজার। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত জমজমাট থাকে বিপণিবিতানগুলো। তবে দিনের তুলনায় সন্ধ্যা ও রাতে বেশি বিকিকিনির ধুম পড়ে। 

কুমিল্লা শহরের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে খ্যাত কান্দিরপাড় এলাকা, ঝাউতলা, চকবাজার ও রাজগঞ্জ এলাকার একাধিক ব্যবসায়ী জানান, শুধু ইফতারের সময় ৩০ মিনিটের বিরতি ছাড়া মধ্যরাত পর্যন্ত বেচাকেনা চলে।

কান্দিরপাড় এলাকার সাত্তার খান কমপ্লেক্স, খন্দকার, ময়নামতি মার্কেট, প্ল্যানেট এস আর, সমতট মার্কেট, নিউ মার্কেট, এসবি প্লাজা ও শাসনগাছা এলাকার ইস্টার্ন ইয়াকুব প্লাজায় দেখা যায়, ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। সর্বশেষ বাজারে আসা বাহারি রঙের থ্রি-পিস কিনছেন তরুণীরা।

এছাড়া তরুণরা ভাইরাল হওয়া ‌‘কাঁচাবাদাম’ ও ‘পুষ্পা’সহ বিভিন্ন চরিত্রের আদলের পাঞ্জাবি ক্রয় করছেন। যদিও একাধিক দোকান মালিক জানান, কোনও চরিত্রের আদলে কোনও পোশাক না হলেও ক্রেতার চাহিদার কথা মাথায় রেখেই সাধারণ পাঞ্জাবি ও থ্রি-পিসে ভাইরাল নাম দিয়ে বিক্রি করা হয়।

সাত্তার খান কমপ্লেক্সের বিপণিবিতানের একটি শাড়ির দোকানের মালিক বলেন, গত দুই ঈদে দোকান খুলতে পারিনি। তবে এবার আশাবাদী, ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবো। যে কারণে বেশি বিক্রি ও সময় বাঁচাতে বেশি দাম চাই না। অল্প লাভে যেন বেশি পণ্য বিক্রি করতে পারি।

নিউ মার্কেট এলাকায় একটি বিপণিবিতানে ঈদের কেনাকাটা করতে আসা স্কুলশিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, প্রচণ্ড গরমের কারণে দিনে কেনাকাটা করা কঠিন। তাই আমরা রাতে কেনাকাটা করতে এসেছি। রাতে কোনও দোকানই ফাঁকা থাকে না, তবুও দেখে শুনে ঠাণ্ডা মাথায় শপিং শেষ করতে পারি। দিনে ভিড় বেশি হলেও কেনাকাটা খুব বেশি হয় না। সেই তুলনায় রাতে বিক্রি ভালো। রাতে যারা আসেন তাদের বেশিরভাগই পছন্দের পোশাক কিনেই বাড়ি ফেরেন। 

করোনার ক্ষতি পুষিয়ে ওঠার আশা ব্যবসায়ীদের

এসবি প্লাজায় কেনাকাটা করতে আসা তারেক রহমান বলেন, গত দুই ঈদে কেনাকাটা করতে পারিনি। এবার করতে হবে। তাই আগেই সেরে নিলাম। রোজা থেকে দিনে কষ্ট হয়ে যায়, এ কারণে রাতে এসেছি।

এদিকে কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড় ও রাজগঞ্জ একালার ফুটপাতের অস্থায়ী দোকানগুলোতেও বেচাকেনা জমে উঠেছে। কান্দিরপাড় এলাকার ব্যবসায়ী আবুল কালাম বলেন, গত দুই বছর কিছু করতে পারিনি। এবার একটু দাঁড়াবার চেষ্টা করছি। আল্লাহর রহমতে বেচাকেনা ভালাই চলছে।

কুমিল্লা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আতিকুল্লাহ খোকন বলেন, বর্তমানে রাতের বিক্রি ভালো। গত দুই বছর মানুষ ঈদের কেনাকাটা করতে পারেনি। এবার তাই একটু বেশি ভিড়। তবে এটা আরও বাড়বে বলে আমরা ধারণা করছি। কারণ, এখনও স্কুল-কলেজ বন্ধ হয়নি। আর সবাই বেতন-বোনাসও পায়নি। দাম নিয়ে কোনও অভিযোগ নেই। আমরা ক্রেতাদের সুবিধার্থে সব ব্যবস্থা করেছি। 

Source link

Related posts

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় যান পারাপার ব্যাহত, দীর্ঘ সিরিয়াল

News Desk

৫ টাকায় ঈদের জামা

News Desk

কাপ্তাই হ্রদে পানি কমায় কমেছে বিদ্যুৎ উৎপাদন

News Desk

Leave a Comment