ময়মনসিংহ-৪ আসনের ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল হক শামীমের পক্ষে ভোট চেয়ে টাকা বিতরণের সময় মো. শফিকুল ইসলাম নামে এক কর্মীকে আটক করা হয়েছে। পরে ট্রাক প্রতীকের ওই কর্মীকে সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শনিবার (০৬ ডিসেম্বর) বিকাল সোয়া ৫টার দিকে নগরীর কৃষ্টপুর এলাকায় এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত শফিকুল ইসলাম সদর উপজেলার সুতিয়াখালি এলাকার মৃত আ. জব্বারের ছেলে। এর আগে শফিকুল ইসলাম ওই এলাকায় টাকা বিতরণ করতে এলে তাকে আটক করেন নৌকার কর্মী-সমর্থকরা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল হক শামীমের পক্ষে নগরীর কৃষ্টপুর এলাকায় ভোট কিনতে এলে ২০ হাজার টাকাসহ শফিকুল ইসলামকে আটক করা হয়। পরে টাকা বিতরণের কথা স্বীকার করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাক্ষ্য দেন শফিকুলের সঙ্গে থাকা মো. নজিবুল হাসান ও জীবন মিয়া।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় শফিকুল ইসলামকে সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’
এদিকে, নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করে নিজের পোলিং এজেন্ট ও সমর্থকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার নামে নগরীর তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে সমাবেশ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল হক। শুক্রবার সকাল ৮টায় সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শেষ হওয়ায় এই প্রার্থীর সমাবেশকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের সামিল বলে জানিয়েছেন নৌকার কর্মী-সমর্থকরা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বলেন, ‘নির্বাচনের প্রচারণা শেষ হওয়ার পরও আচরণবিধি লঙ্ঘন করে স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল হক পোলিং এজেন্ট ও সমর্থকদের নিয়ে সমাবেশ করায় তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হবে। একইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনে সুপারিশ করা হবে।’
প্রসঙ্গত, ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসনে এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন মোহিত উর রহমান শান্ত। তিনি ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ধর্মমন্ত্রী প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমানের ছেলে। তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে লড়ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল হক।