Image default
বাংলাদেশ

মরক্কোর বিজয়গাঁথা: নেপথ্যে যে মন্ত্র

মরক্কোর রূপকথা। কাতার বিশ্বকাপের শেষ চারে ব্রাজিল নেই, পর্তুগাল নেই; তবে মরক্কো আছে।

প্রথম আফ্রিকান দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে জায়গা করে ইতিহাস গড়েছে দলটি। মরক্কো প্রথম আরব দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলা দলও।

অতীতে যেখানে বিশ্বকাপে মরক্কোর সর্বোচ্চ সাফল্য ছিল দ্বিতীয় রাউন্ড, সেখানে এবার স্পেনকে টাইব্রেকারে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেই ইতিহাস গড়েছিল তারা। সেমিতে উঠে তারা সবাইকে ভড়কে দিয়েছে।

 

আর এই গল্পের পেছনে আছে আরেকটা গল্প। মরক্কান ফুটবল দল কয়েক বছর ধরেই হেঁটেছে সুপরিকল্পিত পথে। সীমানার গণ্ডিতে ছাড়িয়ে গেছে তাদের বিচক্ষণতার সুতো। মরক্কোর স্কোয়াডে ২৬ জনের মধ্যে ১৪ জনই ইউরোপ বা বিদেশের মাটিতে জন্ম নেওয়া ফুটবলার।

আর তাদের পায়ে সেমির পথ খুঁজে নিয়েছে মরক্কো।

দ্বিতীয় রাউন্ডে স্পেনের বিপক্ষে টাইব্রেকার ঠেকানো গোলকিপার ইয়াসিন বুনুর জন্ম কানাডায়। সেখানেই তার ফুটবলে বেড়ে ওঠা। এবারের বিশ্বকাপে তিনি গোল খেয়েছেন মাত্র একটি।

স্পেনের মাদ্রিদে জন্ম নেওয়া পিএসজি তারকা আশরাফ হাকিমি, দলের বড় তারকাই। নেদারল্যান্ডসে জন্ম নিয়ে মরক্কান জাতীয় দলে খেলতে এসেছেন সোফিয়ান আমরাবাত। তিনি মধ্যমাঠে দলের প্রাণশক্তি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন।

লেফট উইংয়ের ফ্রান্সে জন্ম নেওয়া সোফিফান বুফাল দলের আক্রমণের অন্যতম চালিকা শক্তি। আরেক তারকা হাকিম জিয়েশও নেদারল্যান্ডসে জন্ম ও বেড়ে ওঠা। চেলসির এই তারকার নেদারল্যান্ডসের কমলা জার্সি পরারই কথা ছিল। সাবেক কোচ রোনাল্ড কোমানের সঙ্গে আলোচনাও চালিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি বেছে নেন মাতৃভূমির লাল-সবুজ জার্সি। সোফিফান আমরাবাতের গল্পটাও একই। তারও খেলার কথা ছিল নেদারল্যান্ডস দলেই।

দেশ আর বি-দেশি দেশ দুই মিলিয়ে অভিজ্ঞতা সঞ্চারি মরক্কো এবার ছুটছে টগবগিয়ে।

Related posts

করোনায় আরও ৩১ জনের মৃত্যু

News Desk

বাজার-গণপরিবহন থেকে সবচেয়ে বেশি করোনায় আক্রান্ত

News Desk

পাটুরিয়ায় বেড়েছে গাড়ির চাপ

News Desk

Leave a Comment