খাগড়াছড়িতে সেনাবাহিনীর মহালছড়ি জোনের বিজিতলা সাবজোনের অন্তর্গত ধইল্লাপাড়া এলাকায় টহল চলাকালে সেনা সদস্যরা আজ সকালে আনুমানিক ৮০ থেকে ১০০ বিঘা জমি গাঁজা ক্ষেতের সন্ধান পায়। এসব ক্ষেতের গাঁজা পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
আগেই গোয়েন্দা তথ্য ছিল, দূর্গম পাহাড়ে গাঁজার চাষ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে তা সরবরাহ করে আসছে মাদক ব্যবসায়ীরা।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, গহীন অরণ্য ও দূর্গম পাহাড়ি এলাকায় যেখানে তুলনামূলক জনবসতি কম সে সব জায়গায় মাদক ব্যবসায়ীরা গাঁজা চাষের জন্য বেছে নেয়।
আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলোর সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা, অস্ত্র কেনা ও তাদের বেতন ভাতাসহ অন্যান্য প্রশাসনিক কাজে মাদক ব্যবসা থেকে অর্জিত অর্থ ব্যয় করা হয়ে থাকে। ধইল্লাপাড়া এলাকাটি প্রত্যন্ত ও দুর্গম হওয়ায় এই এলাকায় জনসাধাণের চলাচল নেই বললেই চলে।
গাঁজা ক্ষেতের সন্ধান পাওয়ার পরপরই মহালছড়ি জোনের সেনাবাহিনীর একটি টিম গাঁজা ক্ষেত ধ্বংস করে আনুমানিক ১২ হাজর থেকে ১৫ হাজার কেজি গাঁজা পুড়িয়ে দেয়। ঘটনাস্থলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অফিসের কর্মকর্তা নাসির ফেরদৌসসহ একটি টিম ও স্থানীয় থানার পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। গাঁজা চাষের সঙ্গে যুক্ত কাউকে আটক করা যায়নি। তবে বিস্বস্ত সূত্রে জানা যায়, পাহাড়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী দল ইউপিডিএফ (মূল) এর সহযোগিতায় ধইল্লাপাড়া, মাটিরাঙ্গার স্থানীয় কারবারি রবি চাকমা (৫৫) ধ্বংসকৃত এই গাঁজা ক্ষেতের চাষ করে যাচ্ছিলেন। সেনাবাহিনীর উপস্থিতি বুঝতে পেরে তিনি আগেই পালিয়ে যান।
নিরাপত্তা বাহিনীর এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকায় জনমনে স্বস্থি ফিরে এসেছে। সেনাবাহীনির মহালছড়ি জোন সর্বদা সাধারণ মানুষের পাশে থেকে তাদের জীবনযাত্রার মান এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করে আসছে। মহালছড়ি সেনা জোনের এধরণের কার্যক্রম সন্ত্রাসীদের বিভিন্ন প্রকার মাদকের চাষ বন্ধ এবং মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হবে বলে এলাকাবাসী আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।