ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে রাজধানীসহ বিভিন্ন শহর থেকে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা শুরু হয়েছে। তবে ঈদের এই আনন্দযাত্রাকে কেন্দ্র করে নানা ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে তাদের। এবারের ঈদযাত্রার শুরুতেই মহাসড়কের পাশে কোরবানির পশুর হাটের কারণে যানজটে বেড়েছে দুর্ভোগ।
ঈদকে কেন্দ্র বসেছে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের জনতার বাজার পশুর হাট। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উভয় পাশে বসা এই হাটের অনেক পশুর অবস্থান খোদ মহাসড়কেই।
সরেজমিন দেখা যায়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উভয় পাশে জনতার বাজারে পশুর হাটে প্রায় আট-দশ হাজার গরু ছাগল উঠেছে। ক্রেতা-বিক্রেতারও উপচে পড়া ভিড়। জনতার বাজার পশুর হাটের পূর্ব ও পশ্চিম অংশে বিপুলসংখ্যক পশু থাকায় বাজারে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। ফলে অনেক বিক্রেতা বাজারে জায়গা না পেয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ওপর অবস্থান নিয়েছেন। এ জন্য ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ওপর যানবাহনের তীব্র যানজট দেখা যায়। বাজারের আশপাশ এলাকার প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। প্রশাসনের যথাযথ তৎপরতা না থাকায় বাড়ছে মানুষের ভোগান্তি। বাজারের শৃঙ্খলা ও যানজট নিরসনে গোপলার বাজার তদন্ত কেন্দ্রের পাঁচ-ছয় জন পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জনবল ও তৎপরতা বৃদ্ধি না করলে এই বাজারে দুর্ভোগ এবং যানজট আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
ওই মহাসড়কের মাইক্রোবাসের যাত্রী রুমান আহমেদ বলেন, ‘ঢাকা থেকে নিজ বাড়ি সুনামগঞ্জে ফিরছি। জনতার বাজারের কোরবানির পশু মহাসড়কে থাকায় এবং বিপুল জনসমাগমের কারণে এই মহাসড়কে তীব্র যানজট।’
গজনাইপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড সদস্য সেকুল আহমেদ বলেন, ‘শনি ও সোমবার বাজারের অনেক পশু মহাসড়কে ছিল। ফলে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়, মানুষের চরম দুর্ভোগ হয়।’
গজনাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমদাদুর রহমান মুকুল বলেন, ‘মহাসড়কের যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে এবং মহাসড়কের ওপর বাজার বসাতে নিষেধ করা হয়েছে।’
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ মহিউদ্দিন বলেন, ‘জনতার বাজার পশুর হাটে বিভিন্ন এলাকা থেকে বিক্রেতারা পশু নিয়ে আসেন। প্রতি বছরের মতো এ বছরও নির্বিঘ্নে ক্রেতা-বিক্রেতারা কেনা-বেচা করছেন। মহাসড়কের যাতে কেউ পশু নিয়ে বসতে না পারেন সেই ব্যাপারে আমাদের তৎপরতা রয়েছে।’
তিনি জানান, বাজারের শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে মহাসড়কের যানজট রোধে পুলিশ ও র্যাবের টহল জোরদার করা হবে।