চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণে মাইক্রোবাস ও সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে চার জন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার বরদিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
নিহতরা হলেন– সিএনজি অটোরিকশার যাত্রী চাঁদপুর পুরানবাজার পশ্চিম শ্রীরামদী এলাকার হারুন ব্যাপারীর ছেলে হানিফ ব্যাপারী (২৮), চাঁদপুর শহরের বকুলতলা এলাকার আজিম উদ্দিনের মেয়ে নূপুর আক্তার (১৪), মতলব উত্তরের নবুরকান্দি এলাকার শহিদুল্লাহ প্রধানের স্ত্রী নূরজাহান বেগম (৬৬), ঘনিয়ারপড় এলাকার জালাল উদ্দিন মোল্লার ছেলে জসিম মোল্লা (৫০)।
ছেংগারচর পৌরসভার প্যানেল মেয়র আব্দুল মান্নান ব্যাপারী জানান, নিহত জসিম ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তার পরিবারে বাবা-মা, স্ত্রী, দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মতলবগামী সিএনজি অটোরিকশা ও চাঁদপুর অভিমুখী মাইক্রোবাসের মুখোমুখি এ সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই একজন নিহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় আরও তিন জনকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে আরও একজনের মৃত্যু হয়।
মতলব দক্ষিণ থানার ওসি বলেন, ‘দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে গাড়ি দুটি জব্দ করে থানায় নিয়ে এসেছে। এ দুর্ঘটনায় দুই জন নারী ও দুই জন পুরুষ মারা গেছেন।’
ওসি আরও বলেন, ‘সিএনজি অটোরিকশাটি মাইক্রোবাসের সামনে চলে আসলে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। দুর্ঘটনার পর অটোরিকশার চালক পালিয়ে যায়।’
চাঁদপুর ২৫০ শয্যা সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার বলেন, ‘দুই জনকে আমরা মৃত অবস্থায় পেয়েছি। একজনের অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। তাকে আমরা ভর্তি দিয়েছিলাম।’
হাসপাতালের ইমার্জেন্সি মেডিক্যাল অফিসার ডা. মিজানুর রহমান বলেন, ‘হাসপাতালে তিন জনের মরদেহ রয়েছে। তাদের মধ্যে দুই জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে।’