মাছের আঁইশ ছাড়ানোর ঝামেলায় অনেকেই পছন্দের মাছ খেতে পারেন না। হাত নোংরা হয়ে যাওয়া, হাতে আঁইশের গন্ধ হওয়ার ভয়ে মাছ কাটতে অনীহা অনেকেরই। অনেক বাসা-বাড়িতে মাছ পরিষ্কারের ঝামেলা এড়াতে মাছ খাওয়া থেকে বিরত থাকেন। তবে বাজারেই মাছ পরিষ্কারের ব্যবস্থা থাকায় এ ঝামেলা থেকে মুক্ত হয়েছেন গৃহিণীরা।
পরিষ্কার করা মাছ বাড়িতে নিয়ে গেলে একদিকে গৃহিণীরা যেমন খুশি হন, অন্যদিকে মাছ পরিষ্কার করেই জীবিকা নির্বাহ করছে একশ্রেণির মানুষ। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নওগাঁ শহরের খুচরা মাছ বাজারে মাছ পরিষ্কারের জন্য রয়েছে ১৯টি স্টল। সেখানে ৩০ জন মাছ পরিষ্কার করাকে জীবিকা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে মাছ পরিষ্কার করার কাজ। এ কাজ করে প্রতিজন ৩০০-৫০০ বা তারও বেশি টাকা আয় করেন।
সাহাপুর গ্রামের মাছ পরিষ্কারক বিনয় সরকার জাগো নিউজকে বলেন, ‘দিন খাটি দিন খাই। গত ১৫ বছর থেকে মাছ পরিষ্কার করে জীবিকা নির্বাহ করেছি। ছেলেমেয়েরা আলাদা হয়েছে। বাবাও এই পেশায় ছিলেন। তিনিসহ এখন চারজন একসঙ্গে মাছ পরিষ্কার করার কাজ করেন। দিন শেষে জনপ্রতি ৩০০-৫০০ টাকা ভাগে পান। এ দিয়েই বেশ ভালোভাবে তাদের দিন চলে যায়।
প্রতাপ চন্দ্র নামের একজন বললেন, ‘অনেক দিন থেকেই মাছ পরিষ্কার করার কাজ করছি। ছোট পরিবার। এখান থেকে যে আয় হয় তা দিয়ে সংসার ভালোই চলে। প্রতাপ চন্দ্র নামের একজন বললেন, ‘অনেক দিন থেকেই মাছ পরিষ্কার করার কাজ করছি। ছোট পরিবার। এখান থেকে যে আয় হয় তা দিয়ে সংসার ভালোই চলে।