সেন্টমার্টিনগামী পর্যটকবাহী জাহাজ ক্রুজশিপ বে ওয়ান নিরাপদে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় ওয়াটার বাস টার্মিনালে পৌঁছেছে। শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে সাড়ে ৭শ’ যাত্রী নিয়ে পৌঁছায় জাহাজটি। মাঝ সাগরে বিকল হওয়া জাহাজটিকে আনতে সহযোগিতা করেছে বন্দরের শক্তিশালী টাগবোট ‘কাণ্ডারি ১০’।
জাহাজ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী শিপবিল্ডার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী আবদুর রশিদ বলেন, পর্যটকবাহী জাহাজটি দুপুর ১টা ১০ মিনিটে নিরাপদে চট্টগ্রামে পৌঁছায়। এতে সাড়ে ৭শ’ যাত্রী ছিলেন। সবাই সুস্থ আছেন। সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকসহ তার পরিবারের কয়েকজন সদস্যও জাহাজে ছিলেন।
তিনি জানান, এর আগে বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) জাহাজের কয়েকটি তার লক হওয়ায় ইঞ্জিনে আগুন লাগে। এটি জাহাজের টেকনিক্যাল ত্রুটি। এ কারণে সেন্টমার্টিন না গিয়ে জাহাজটি চট্টগ্রামেই ফিরিয়ে আনা হয়েছে। ত্রুটি সারানোর পর চট্টগ্রাম থেকে পুনরায় ছেড়ে যাবে।
আরও পড়ুন: মাঝ সমুদ্রে সেন্টমার্টিনগামী জাহাজে আগুন
রাত ১১টায় চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গা ওয়াটার বাস টার্মিনাল থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে জাহাজটি ছেড়ে যায়। রাত দেড়টার দিকে কুতুবদিয়ার কাছাকাছি পৌঁছালে ইঞ্জিন রুম থেকে ধোঁয়া বের হতে থাকে। বিষয়টি টের পেয়ে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কিছুক্ষণ ধরে ব্যাপক ধোঁয়া ওঠার পর তা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এ সময় সব যাত্রীকে লাইফ জ্যাকেট পরিয়ে দেওয়া হয়। পরে জাহাজটি বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া চ্যানেলে নোঙর করে রাখা হয়। সকাল ১০টা পর্যন্ত জাহাজটি সেখানে ছিল।
বে ওয়ান জাহাজের রিজার্ভেশন শাখায় কর্মরত মাহমুদ হাসান বলেন, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে যাওয়ার দুই ঘণ্টা পর জাহাজের ইঞ্জিনে ত্রুটি দেখা দেয়। সে কারণে জাহাজটি কুতুবদিয়া চ্যানেলে নোঙর করা হয়। আমাদের ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্তে যাত্রীদের নিরাপদস্থলে আনতে পাসেন্টমার্টিনের পরিবর্তে জাহাজটি চট্টগ্রামে আনা হয়েছে।
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স লিমিটেডের পরিচালনায় গত বছরের ১৪ জানুয়ারি চট্টগ্রাম-সেন্টমার্টিন পর্যন্ত পযর্টকদের জন্য এই জাহাজ উদ্বোধন করা হয়। প্রায় দুই হাজার যাত্রীর ধারণ ক্ষমতা আছে জাহাজটিতে।