মিথ্যা তথ্য দিয়ে বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন (বিএইচবিএফসি) থেকে ঋণ নিলে আগের চেয়ে বেশি সাজার বিধান রেখে বিদ্যমান আইন সংশোধনের প্রস্তাব জাতীয় সংসদে উঠেছে। পাশাপাশি রাষ্ট্রায়ত্ত এই প্রতিষ্ঠানটির অনুমোদিত মূলধন ৯ গুণ বাড়ানো হচ্ছে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংসদ অধিবেশনে বিলটি উত্থাপন করা হয়।
সোমবার (৮ জুন) অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল ‘বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল- ২০২১’ সংসদে উত্থাপন করেন। পরে সেটি এক মাসের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
বর্তমান আইন অনুযায়ী, করপোরেশন থেকে কেউ যদি ঋণ নেয়ার সময় ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা বিবরণী দেন বা জেনেশুনে মিথ্যা বিবরণী ব্যবহার করেন বা করপোরেশনে যে কোনো ধরনের জামানত গ্রহণে প্রবৃত্ত করেন তাহলে দুই বছর কারাদণ্ড, দুই হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। বিলে সেটাকে বাড়িয়ে পাঁচ বছর কারাদণ্ড এবং পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার প্রস্তাব করা হয়েছে।
লিখিত সম্মতি ছাড়া প্রসপেক্টাসে বা বিজ্ঞাপনে বিএইচবিএফসির নাম ব্যবহারের সাজা হিসেবে আগে ছয় মাসের কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা ছিল। জরিমানা বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে খসড়ায়। বিদ্যমান আইনে অনুমোদিত মূলধন ১১০ কোটি আর পরিশোধিত মূলধন ছিল ১১০ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত আইনে এক হাজার কোটি টাকা হচ্ছে অনুমোদিত মূলধন আর ৫০০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের প্রস্তাব করা হয়েছে। বিলে বলা হয়, পরিচালকের মেয়াদ সরকারের সন্তুষ্টিক্রমে দুই মেয়াদের অনূর্ধ্ব তিন বছর বহাল থাকবে। করপোরেশন সরকারের কাছ থেকে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ নিতে পারবে।
সূত্র : জাগো নিউস ২৪