মিয়ানমার সেনাবাহিনীর রাইফেলের বুলেটসহ দুই রোহিঙ্গা যুবক আটক করেছে হাইওয়ে পুলিশ। শনিবার (২৭ এপ্রিল) বেলা ১১টায় কক্সবাজার-টেকনাফ আঞ্চলিক মহাসড়কের নয়াপাড়া এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিওনের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. খাইরুল আলম।
আটক দুই রোহিঙ্গা হলেন- কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প ব্লক-ই-৩১৪-তে আশ্রিত ইসলামের ছেলে কেফায়েত উল্লাহ (১৯) ও নোয়াখালীর ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ক্লাস্টার-৬৫, রুম নং-জে-১২৩ এর আব্দুস সালামের ছেলে আনোয়ার মোস্তফা (১৮)। তাদের কাছে মোট ১৭টি বুলেট পাওয়া গেছে।
অতিরিক্ত ডিআইজি মো. খাইরুল আলম জানান, টেকনাফ-কক্সবাজারমুখী পায়রা সার্ভিসের একটি যাত্রীবাহী বাস থামিয়ে তল্লাশি করছিল হোয়াইক্যং থানা পুলিশ। একপর্যায়ে যাত্রীর আসনে থাকা দুই যুবককে সন্দেহ হলে তাদের দেহ তল্লাশি করে পুলিশ। এ সময় কেফায়েত উল্লাহর কোমরে বাঁধা কালো রঙয়ের ব্যাগে গুলিগুলো পাওয়া যায়। অবৈধ বুলেট রাখায় ওই রোহিঙ্গা যাত্রী ও তার সহযাত্রী আনোয়ার মোস্তফাকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, মিয়ানমার থেকে এই বুলেট কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নেওয়ার জন্য বহন করছিল। ১৯ এপ্রিল তারা দালালের মাধ্যমে মায়ানমারের মংডু জেলার মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বুচিডং ক্যাম্পে যায়। সেখানে সেনাবাহিনী তাদেরকে জিথ্রি রাইফেল চালানোর প্রশিক্ষণ দেয়। সেনাবাহিনীর পক্ষে বিদ্রোহীদের সঙ্গে যুদ্ধ করার উদ্দেশে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
আটকদের বরাত দিয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে সাত দিন থাকার পর অতিরিক্ত গরম ও খাদ্য কষ্টে সেখান থেকে আজ সীমান্ত পেরিয়ে পুনরায় বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এ বিষয়ে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানায় অস্ত্র আইনে একটি নিয়মিত মামলা প্রক্রিয়াধীন।