সব বাধা উপেক্ষা করে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশে বিপুল মানুষের অংশগ্রহণ বাংলাদেশে ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইকে আরও এগিয়ে নেবে বলে মনে করে গণসংহতি আন্দোলন। দলটির নেতারা বিরোধীদের ওপর দমন–পীড়ন বন্ধের পাশাপাশি বিএনপির মহাসচিবসহ দলটির নেতা–কর্মীদের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন।
আজ শনিবার গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি এবং নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল এক যৌথ বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।
এদিকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে গণ অধিকার পরিষদ শনিবার রাজধানীর পল্টনের দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও র্যালি করে। সেখানে গণ অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক বলেন, সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মানুষের মুঠোফোন তল্লাশি করে দেখছে বিএনপি নাকি আওয়ামী লীগ করে। এটা ব্যক্তিস্বাধীনতা ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। সরকারের নির্দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন না করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
বিএনপি ৯টি বিভাগীয় শহরে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করেছে উল্লেখ করে নুরুল হক বলেন, ঢাকায় সমাবেশের ঘোষণায় সরকার নিজেদের পতনের ভয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে সারা দেশে যুদ্ধের মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছে। সরকার অঘোষিত হরতাল ঘোষণা করে পরিবহন বন্ধ করে মানুষকে দুর্ভোগে ফেলেছে।
ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ থেকে বিএনপির ১০ দফা দাবি গ্রহণযোগ্য ও জাতীয় সমঝোতা দলিলের প্রাথমিক খসড়া বলে জানিয়েছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)। আজ বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনে বিজয়-৭১ চত্বরে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংহতি সমাবেশে এ কথা বলেন নেতারা।
সংহতি সমাবেশে এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, স্বাধীনতার ৫১তম বছরে এসেও ন্যূনতম স্বাধীনতা ও রাজনৈতিক অধিকারের জন্য লড়াই করতে হচ্ছে। বিএনপির ১০ দফা দেশের গণতন্ত্রকামী প্রতিবাদী মানুষের অধিকারের সনদ বলে মনে করেন তিনি।