জরুরি প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হওয়া ও ফিরে আসার জন্য পুলিশের বিশেষ অ্যাপ ব্যবহার করে আলাদা মুভমেন্ট পাস নিতে হবে। বুধবার থেকে শুরু হওয়া আট দিনের লকডাউন চলাকালে এই পাস নিতে হবে। তবে গণমাধ্যমকর্মীদের এই পাস লাগবে না। তাঁদের নিজ প্রতিষ্ঠানের পরিচয়পত্রই মুভমেন্ট পাস হিসেবে গণ্য করা হবে বলে পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে।
দেশে করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বগতি রোধে বুধবার (১৪ এপ্রিল) থেকে শুরু হচ্ছে পরবর্তী এক সপ্তাহের জন্য কঠোর ‘লকডাউন’। লকডাউনের এই সময় বাসা বা বাড়ির বাইরে বের হতে হলে অনলাইন থেকে ব্যক্তিকে অবশ্যই ‘মুভমেন্ট পাস’ বা চলাচলের জন্য অনুমতি সংগ্রহ করতে হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) জানানো হয়েছে এ তথ্য।
পুলিশ প্রধান বেনজির আহমেদ বলেছেন, অতি প্রয়োজনে বাইরে বের হওয়ার জন্য অবশ্যই মুভমেন্ট পাস প্রদর্শন করতে হবে।
সোমবার (১২ এপ্রিল) সরকারি নির্দেশনায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনো ব্যক্তির ঘরের বাইরে যাওয়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এছাড়াও এ লকডাউন কার্যকরে সরকারের ১৩ দফা বিধিনিষেধে বলা হয়েছে, অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া (ঔষধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কেনা, চিকিৎসা সেবা, মরদেহ দাফন বা সৎকার এবং টিকা কার্ড নিয়ে টিকার জন্য যাওয়া) কোনো ব্যক্তি কোনোভাবেই বাসা বা বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না।
বাংলাদেশ পুলিশ বলছে, বুধবার থেকে কঠোর লকডাউন কার্যকর করতে সরকার যে নির্দেশনা দিয়েছে তা বাস্তবায়নে পুলিশও এবার কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এবং তার আওতায় ‘মুভমেন্ট পাস’ ব্যতীত কাউকে বাইরে বের হতে দেয়া হবে না।
লকডাউনে বাসা থেকে নিতান্ত প্রয়োজনে কাউকে বের হতে হলে www.movementpass.police.gov.bd এই ওয়েব ঠিকানায় ঢুকতে হবে। প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করার পর ডাউনলোড করে তা প্রিন্ট করতে হবে। প্রিন্ট কপিটিই মুভমেন্ট পাস হিসেবে গণ্য করা হবে।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, একটি মুভমেন্ট পাস ব্যবহার করে একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ তিন ঘণ্টা বাইরে থাকতে পারবে। প্রতিটি গন্তব্যে যাওয়া এবং আসার জন্য দুটি মুভমেন্ট পাস সংগ্রহ করতে হবে। বাসা বা বাড়ির বাইরে চলাচলের জন্য ১৪টি শ্রেণিতে ‘মুভমেন্ট পাস’ দেবে পুলিশ। এর মধ্যে রয়েছে- মুদি দোকানে কেনাকাটা, কাঁচা বাজার, ওষুধপত্র, চিকিৎসা কাজে নিয়োজিত কিংবা কৃষিকাজ, ব্যবসা পণ্য পরিবহনের মতো বিষয়গুলো।
বেনজীর আহমেদ বলেছেন, আমরা বিনা প্রয়োজনে কাউকে রাস্তায় দেখতে চাই না। প্রয়োজনে ঘরের বাইরে গেলে মাস্ক পরতে হবে এবং ঘরে ফিরে স্যানিটাইজার দিয়ে পরিষ্কার হবেন। আপনার মাধ্যমে যেন আপনার প্রিয়জন করোনায় সংক্রমিত না হন, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।