দীর্ঘদিন পর অবশেষে দখলমুক্ত হলো যশোরের শার্শার বেনাপোল পৌরসভার সাবেক মেয়র আশরাফুল আলম লিটন ও বাহাদুরপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মফিজুর রহমানের দখলে থাকা প্রায় ৩০০ বিঘা খাস জমি। এসব জমি উদ্ধার করে দখল নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
শার্শার হরিণাপোতা বিলে সরকারের খাস জমি ২০১২ সালে দখলে নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম লিটন ও উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা সাবেক চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান সরকার ‘খ’ তফসিলভুক্ত ৯৮.৫৮ একর বা ৩০০ বিঘা জমি দখলে নিয়ে পুকুর ও ঘের কেটে মাছ চাষ করতে থাকে।
উল্লেখ্য, গত এক মাস আগে একই এলাকায় সাবেক এমপি আফিল উদ্দিনের দখলে থাকা ১৩০ বিঘা জমি উদ্ধার করে দখল নেয় উপজেলা প্রশাসন। সাবেক এমপি আফিল ব্রিডার ফার্মের নামে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে সেখানে মাছের চাষ করতেন।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাজী নাজিব হাসান ও শার্শা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত ইয়াসমিনের নেতৃত্বে ভূমি অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীরা দখল করা জমি রাষ্ট্রের অনুকূলে দখল নিয়ে ২১০টি বাঁশের খুঁটিতে লাল পতাকা টাঙিয়ে দখল জমি দখলে নিয়েছে। উদ্ধার জমি ৩ নম্বর বাহাদুরপুর ইউনিয়নের ৩৬ নম্বর মৌজার ১৯১৮ ও ৩৩৩১ নম্বর দাগের বিল এবং ধানি শ্রেণির জায়গা। যার এসএ এবং আরএস খতিয়ান নম্বর ৫৪৫ ও ০১।
শার্শা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাসান জহির বলেন, বাহাদুরপুর ইউনিয়নে একটি বড় বিল হরিণাপোতা। এখানে শত শত বিঘা খাস জমি রয়েছে। যার মধ্যে অবৈধ সরকারের বেনাপোল পৌরসভার সাবেক মেয়র আশরাফুল আলম লিটন ও তিন নম্বর বাহাদুরপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান ৩০০ বিঘা ভোগ দখল করে মাছ চাষ করে আসছিল। উপজেলা প্রশাসন আজ দখলমুক্ত করে সরকারের অনুকূলে নিয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী নাজিব হাসান জানান, উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের বাহাদুর মৌজার হরিণাপোতা বিলে ৯৮.৫৮ একর বা ৩০০ বিঘা খাস জমি রয়েছে। যা শার্শার বেনাপোল পৌরসভার সাবেক সাবেক মেয়র আশরাফুল আলম লিটন ও তিন নম্বর বাহাদুরপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান দখলে নিয়ে মাছ চাষের জন্য পুকুর কেটে দীর্ঘদিন ধরে ভোগ দখল করে আসছিলেন। বিলে এখনও বেশ কিছু খাস জমি বিভিন্ন মহলের দখলে আছে। খুব দ্রুত বাকিদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে বেদখল হওয়া সব জমি পর্যায়ক্রমে রাষ্ট্রের অনুকূলে ফেরত আনা হবে।