রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলার শিলছড়ি এলাকার ৫হাজার জনগন স্বাধীনতার ৫০ বছরেও বিশুদ্ব পানির মুখ দেখেনি। কয়েক কিঃমিটার দূরত্ব গিয়ে বিশুদ্ব পানি বহনকরে আনা হয়। প্রশাসনের নিকট এলাকাবাসির দাবি একটি ডিপটিবওয়েল স্থাপন। ওয়াগ্গা ইউনিয়নের একটি ওয়ার্ড শিলছিড় এলাকা এখানে প্রায় পাঁচ হাজার বাঙ্গালী- উপজাতীয় লোকের বসবাস। এখানে উপজেলা পরিষদ,জেলা পরিষদ সদস্য, ইউপি,চেয়ারম্যান,সদস্য, নির্বাচিত হওয়ার পরও এলাকার বসবাসরত জনসাধারনের ভাগ্যে একটি ডিপটিউবওয়েল জোটেনি বলে এলাকাবাসির অভিযোগ। জনসাধারন বিশুদ্ব পানির জন্য হা,হাকার হচ্ছে। পানির অভাবে কয়েক কিলোমিটার দূরে গিয়ে এলাকার লোকজন বিভিন্ন যানবাহনের মাধ্যমে পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে। আর এ পানি আনতে গিয়ে ঘন্টার,পর ঘন্টা অপেক্ষা ও অতিরিক্ত টাকা পরিবহন খরচ দিতে হচ্ছে। বিশুদ্ব পানি না পাওয়ার দরুন এলাকার লোকজন পাশ্ববর্তী নদীর পানি পান করার ফলে ডায়রিয়া,টাইফয়েড,চম্যরোগসহ বিভিন্ন পানি বাহিত রোগে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এলাকার বসবাসরত মোঃ এমরান হোসেন,রহিম উল্লা,ফাইমং কারবারী,শহিদউল্লা,হোসেন মোল্লা,হাজি সিরাজ,আতিক মিস্ত্রী,ও ভুট্রো এরা বলেন,যুগ,যুগ ধরে অথ্যাৎ স্বাধীনতার ৫০ বছরেরও এলাকার লোকজনের একটি বিশুদ্ব পানি বা ডিপটিউবওয়েল ভাগ্যজোটেনি। বহু বছর যাবৎ সুপেয়ও পানির জন্য ভুগতেছি। আমরা বহুদুর হতে অথ্যাৎ বড়ইছড়ি,বিজিবি ক্যাম্প সহ বিভিন্ন এলাকা হতে বিভিন্ন বাহনযোগে পানি এনে তা ব্যবহার করছি। বিশুদ্ব পানি না পাওয়ার কারনে আমাদের পরিবারের লোকজন ময়লা দুগন্ধযুক্ত পানি ব্যবহার করে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ করেন। তারা প্রশাসনের নিকট শিলছড়ি এলাকায় একটি ডিপটিউবওয়েল(বিশুদ্ব পানির) স্থাপন করার আহবান জানান। এদিকে শিলছড়ি এলাকার ইউপি সদস্য মাহাবুব আলম বলেন,বিশুদ্ব পানি যন্ত্রণায় ভুগতেছি। বিশুদ্ব পানির জন্য কারো পা ধরতে হলেও তাও ধরবো বলে উল্লেখ করেন। তিনি আরো বলেন,উক্ত শিলছড়ি আনসার ক্যাম্প ও আইডিএফের দু’টি টিউবওয়েল ছিল দীর্ঘ দিন যাবৎ সে দু’টো বিকল হওয়ার ফলে লোকজনের কষ্টের মাত্রা বেড়ে গেছে। এখন লোকজন বহুদুর হতে বিভিন্ন বাহনের মাধ্যমে খাওয়ার পানি সংগ্রহ করছে। এছাড়া জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর যে সকল রিংওয়েল ছিল তা দীর্ঘ বছর যাবৎ নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। অনেক বলা হলেও তা আর মেরামত করা হয়নি। আমরা চাই উক্ত এলাকায় একটি ডিবটিউবওয়েল দিয়ে বিশুদ্ব পানির ব্যবস্থা করা হউক। ছবিসংযুক্তঃ শিলছড়িবাসি বিশুদ্ধ পানি বহুদূর থেকে বহন করে আনতে দেখা যাচ্ছে।