সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি কমেছে। এতে জেলার বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে বন্যাকবলিত এলাকার বসতবাড়ি থেকে এখনও পানি নামেনি। তাই বাড়ি ফিরতে পারছেন না বানভাসিরা।
গত ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জ হার্ডপয়েন্ট এলাকায় ১৫ সেন্টিমিটার ও কাজিপুর মেঘাই ঘাট পয়েন্টে ২৭ সেন্টিমিটার পানি কমেছে। তবে এখনও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে যমুনার পানি। চলতি বন্যায় জেলার পাঁচটি উপজেলার ৩৮টি ইউনিয়নের ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
শুক্রবার (২৪ জুন) সকালে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেজ রিডার হাসানুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় শহরের হার্ডপয়েন্ট এলাকায় যমুনা নদীর পানি ১৫ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর এবং কাজিপুর মেঘাই ঘাট পয়েন্টে ২৭ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ২৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনার পানি দ্রুত কমছে। দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে পানি বিপৎসীমার নিচে চলে আসবে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার পাঁচটি উপজেলার ৩৮টি ইউনিয়নের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। প্রতি উপজেলায় ১৪০ মেট্রিক টন চাল, ৬ লাখ টাকা ও ৩ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সেগুলো দ্রুত বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া মজুত রয়েছে ৭৭১ মেট্রিক টন চাল ও ১৪ লাখ টাকা। সেই সঙ্গে বিশেষ বরাদ্দের জন্য ১০ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ও এক হাজার বান্ডিল ডেউটিন বরাদ্দের জন্য আবেদন করা হয়েছে।
এবারের বন্যায় সিরাজগঞ্জে প্রায় ৫৬৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বন্যার্তদের জন্য ১৮৪টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। পানিবন্দি মানুষদের চিকিৎসার জন্য ২৩টি মেডিক্যাল টিম কাজ করছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, যমুনায় পানি কমতে শুরু করেছে। দ্রুত কমবে অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানিও। এতে নিম্নাঞ্চল থেকে শিগগিরই পানি নেমে যাবে।
জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহাম্মদ বলেন, বন্যার্ত মানুষের খোঁজ-খবর নেওয়ার জন্য প্রতিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা স্ব স্ব উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও চেয়ারম্যানদের নিয়মিত তাদের খোঁজ-খবর রাখছেন।