যানজট আর কোলাহলের পুরান ঢাকায় আজ সুনসান নীরবতা। সকাল থেকে চলছে কঠোর বিধিনিষেধ। রাস্তাঘাটে নেই মানুষের ছুটোছুটি, নেই কোনো জনকোলাহল। অলিগলির চায়ের দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছেন দিনমজুররা। ফাঁকা রাস্তায় খানিকক্ষণ পর পর আসা যাওয়া করছে রিকশা ও মোটরসাইকেল। কঠোর লকডাউনের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) এমন চিত্র দেখা যায় পুরান ঢাকার বাংলাবাজার, সদরঘাট মোড়, ভিক্টোরিয়া পার্ক, কোর্ট প্রাঙ্গণ ও রায়সাহেব বাজার মোড়ে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, রাস্তাঘাটে রয়েছে নীরব পরিবেশ। ফাঁকা রাস্তায় রিকশা ও মোটরসাইকেল চলাচল কম থাকলেও পথচারীদের আনাগোনা বেশি দেখা যাচ্ছে। তিনদিনের চেয়ে আজ রাস্তায় রিকশার উপস্থিতি একদম কম। সকাল থেকে বৃষ্টির কারণে মানুষজন দেখা না গেলেও দুপুরের দিকে মানুষ বের হচ্ছে তাদের বিভিন্ন গন্তব্যে।
পুরান ঢাকার বিভিন্ন অলিগলিতে বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড দিয়েছেন ওয়ার্ড কাউন্সিলররা। বাংলাবাজার, লক্ষ্মীবাজারসহ বেশ কয়েকটি মোড়ে বাঁশের ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় জনগণ ও রিকশাচালকরা।
রিকশাচালকরা জানান, মেইন রোডে আজ যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। ভাড়া কমিয়ে দিয়েও যাত্রীদের দেখা নেই। মেইন রোড থেকে অলিগলিতে যাওয়া যায় না ব্যারিকেডের কারণে। পুলিশের কারণে কোথাও দাঁড়ানো যায় না। ফাঁকা রিকশা নিয়ে ঘুরতে হয়। যাত্রী পেলে তবে গন্তব্যে যেতে হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিআইডব্লিউটিএ’র এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমার বাসা শাহজানপুর, কিন্তু রিকশায় সদরঘাট আসতে হয়েছে। সকাল থেকে বৃষ্টির কারণে রিকশা পাইনি, চালকরাও ভাড়া চাচ্ছেন বেশি। এখন বাসায় যাব, রিকশাচালকরা ভাড়া তিনগুণ বেশি চাচ্ছেন। কিছু দূর হেঁটে তারপর রিকশায় এভাবে যেতে হচ্ছে আমাদের।’