করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ১৪ এপ্রিল থেকে চলমান দেশব্যাপী সর্বাত্মক লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। আগামীকাল সোমবার থেকে লকডাউনের নতুন বিধিনিষেধ কার্যকর হবে। রোববার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন অধিশাখার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, আন্তঃজেলাসহ সব যানবাহন চলাচল করবে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে। তবে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করতে হবে। হোটেল, রেস্তোরাঁ ও খাবার দোকান খুলে দেওয়া হবে। তবে আসন সংখ্যার অর্ধেক সেবাগ্রহীতা সেবাগ্রহণ করতে পারবেন।
সংক্রমণ এখনও নিয়ন্ত্রণে না আসা সত্ত্বেও কেন লকডাউন শিথিল করার সিদ্ধান্ত এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেন, মানুষের জীবন-জীবিকার কথা চিন্তা করে দূরপাল্লার গণপরিবহণ ও হোটেল-রেস্তোরাঁ খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ফরহাদ হোসেন রোববার সাংবাদিকদের আরও বলেন, গণপরিবহণ ও হোটেল-রেস্তোরাঁ এবং খাবারের দোকান খুলে দেওয়ার অর্থ এটা নয় যে দেশ থেকে করোনা দূর হয়ে গেছে। বরং এখন সবাইকে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং নিয়মিত মাস্ক পরতে হবে। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আগামী এক সপ্তাহ আমরা সার্বিক পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করব। পরিস্থিতি বিবেচনা করে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
মার্চের শেষ দিকে দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার প্রথমে ৫ এপ্রিল থেকে সাত দিনের জন্য গণপরিবহন চলাচলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি করেছিল। পরে তা আরও দুদিন বাড়ানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ দিয়ে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরু হয়। সেটি পরে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। পরে আরও তিন দফা লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সে সময়ে বিধিনিষেধের শর্তেও নানান পরিবর্তন আনা হয়। সেই মেয়াদ শেষ হবে আজ রোববার মধ্যরাতে।