রাজশাহীর বাঘায় আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সংঘর্ষের ঘটনার মামলায় পাকুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মেরাজুল ইসলাম মেরাজকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) সকাল ৯টায় রাজশাহী নগরীর শিরোইল এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মেরাজ পাকুড়িয়ার কিশোরপুর গ্রামের মৃত রাকিব সরকারের ছেলে। এ ঘটনায় ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুবান আলীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি পলিগ্রাম এলাকার বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই সম্মেলনে সংঘর্ষের ঘটনার পর থেকে এলাকায় গ্রেফতার আতঙ্ক এবং চাপা উত্তেজনা চলছে। ইতোমধ্যে পৃথক মারপিটে আকুল হোসেন ও রতন আলী নামে দুই জন আহত হয়েছেন। উপজেলার নারায়ণপুর বাজারে ও কিশোরপুর গ্রামে এই মারপিটের ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে সাবেক মেয়র আক্কাছ আলীর ছোট ভাই আকুল হোসেনকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে এবং রতন আলীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এর জের ধরে মঙ্গলবার দুপুরে চেয়ারম্যান মেরাজের বাড়িতে ও তার বাড়ির পাশে কিশোরপুর পদ্মা নদীর ধারে দর্শনার্থীদের বসার স্থানে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মেরাজুল ইসলাম মেরাজকে গ্রেফতারের পর উপজেলা ছাত্রলীগের আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিক্ষোভ মিছিল শেষে মেরাজের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
এ বিষয়ে বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সংঘর্ষের ঘটনায় দুটি মামলায় মেরাজুল ইসলাম মেরাজ ২ নম্বর আসামি। তাকে ডিবি পুলিশ রাজশাহীর শিরোইল এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে বলে শুনেছি।’
আরও খবর: স্লোগান দেওয়া নিয়ে আ.লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২০