করোনাকালে বেকায়দায় পড়া রাজশাহীর ১৬৫ জন সংস্কৃতিকর্মীর মাঝে সরকারের বিশেষ প্রণোদনার ১৪ লাখ ২৮ হাজার টাকার চেক বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার (৩১ মে) বেলা ১১টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এই চেক বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার মো. হুমায়ুন কবীর। জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সমাজসেবী শাহীন আক্তার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কল্যাণ চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে ১০৫ জন সংস্কৃতিকর্মীকে ৫ হাজার টাকা করে মোট ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকার চেক দেওয়া হয়। এছাড়া প্রবীণ আরও ৬০ জন সংস্কৃতিসেবীর মাঝে ১১ লাখ ৩ হাজার ৬০০ টাকা দেওয়া হয়। এই ৬০ জন সর্বনি ১২ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত পেয়েছেন। করোনাকালে সরকারের এই প্রণোদন পাওয়া সংস্কৃতিকর্মীরা জেলার সংগীত শিল্পী, যন্ত্রশিল্পী, নাট্যশিল্পী, যাত্রাশিল্পী, আলকাপশিল্পী, পুতুলনাট্য শিল্পী, নৃত্যশিল্পী, বাউল শিল্পী, গম্ভীরাশিল্পী, মেকাপ শিল্পী, পালাগানের শিল্পী, মঞ্চের আলোকশিল্পী, গীতিকার ও সুরকার হিসেবে কাজ করেন।
অনুদানের ১৪ হাজার ৫০০ টাকা পেয়েছেন বাঘার অসচ্ছল শিল্পী প্রভাস চন্দ্র দাস। তিনি প্রথম আলোকে জানান, কারোনা পরিস্থিতি শুরু হওয়ার পর থেকে তাদের টিউশনি বন্ধ হয়ে গেছে। সারাজীবন সংগীতের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এ ছাড়া কোনো কাজ করেননি। করোনাকালে সঙ্গীতের চর্চা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে তারা পরিবার পরিজন নিয়ে মহাবিপদের মধ্যে রয়েছেন। তিনি বলেন, এই অনুদানের টাকা পেয়ে কী যে ভালো লাগছে, প্রকাশ করার ভাষা নেই। শ্যামল কুমার বলেন, তিনি ৫ হাজার টাকার প্রনোদনা পেয়েছেন। এর আগেও শিল্পকলা একাডেমি থেকেই প্রণোদনা পেয়েছেন। এটি সরকারের একটি মহতি উদ্যোগ। তিনি বলেন, টিউশনি ছাড়া তার আয়ের কোনো পথ নেই। গত এক বছরে তার কোনো টিউশনি নেই। এই অবস্থায় সরকারের প্রণোদনার টাকা তাদের কাছে বিরাট কিছু।
সূত্র : সিল্কসিটি নিউস