রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিনসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনেছেন মোহনপুর উপজেলা কৃষক লীগের এক নেত্রী। রোববার রাতে মোহনপুর থানায় দেওয়া অভিযোগে আয়েন উদ্দিনের ব্যক্তিগত সহকারী ও উপজেলা যুবলীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি একরামুল হককে প্রধান অভিযুক্ত করা হয়েছে। তবে অভিযোগের সত্যতা নেই বলে দাবি করেছেন সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন।
অভিযোগকারী শেখ হাবিবা উপজেলা কৃষক লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক। অভিযোগে আয়েন উদ্দিন ও একরামুল হকের পাশাপাশি মোহনপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুস সালাম (৫৫), গাড়িচালক মো. সাজ্জাদ হোসেন (২৭), মোছা. ডলি বেগম (৩৬), আবদুস সালামের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) মো. হুমায়ূন কবির (৩০), মো. জুয়েল রানা (২২) ও মোসা. ডলি আক্তারকে (২৮) অভিযুক্ত করা হয়েছে।
মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম বাদশাহ বলেন, একটি অভিযোগ পেয়েছেন। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।
থানায় দেওয়া অভিযোগে শেখ হাবিবা উল্লেখ করেছেন, আয়েন উদ্দিনের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে বক্তব্য দেওয়ায় শত্রুতার জের ধরে পূর্বপরিকল্পিতভাবে গত বুধবার (২৩ নভেম্বর) উপজেলা পরিষদ চত্বরে তাঁর ওপর হামলা হয়। আয়েন উদ্দিন ও আবদুস সালামের হুকুমে একরামুল হক হাতুড়ি দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত জখম ও শ্লীলতাহানি করেন। ডলি বেগম ওড়না দিয়ে গলা চেপে ধরে তাঁকে হত্যার চেষ্টা করতে থাকে। এ সময় ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। ডলি আক্তার মুঠোফোন এবং গলায় থাকা ৭০ হাজার টাকা মূল্যের এক ভরি ওজনের সোনার চেন চুরি করে নেয়।
অজ্ঞাতনামা অনেকে এলাপাতাড়ি কিল–ঘুষি মারে। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করান। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার কারণে অভিযোগ করতে বিলম্ব হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
জানতে চাইলে সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন বলেন, ঘটনার দিন উপজেলা চত্বরে আরেকজন নারীর সঙ্গে গন্ডগোল করছিলেন হাবিবা। এটা দেখে তিনি সভা শেষ করে কিছু না বলে সোজা গাড়িতে উঠে চলে এসেছেন।
অভিযুক্ত একরামুল হক বলেন, আরেকজন নারীর সঙ্গে শেখ হাবিবা মারামারি করছিলেন। ঠেকাতে গিয়ে তিনিই হাবিবার হাতে আহত হয়েছেন।