যশোরের মণিরামপুরের মাচনায় ভূমিহীনদের জন্য নির্মিত সরকারি ৬৪ ঘরের মধ্য একটি ঘর পেয়েছেন পলি খাতুন (৩২)। একমাস আগে দুই সন্তান নিয়ে সেই ঘরে উঠেছেন স্বামী পরিত্যক্তা এই নারী। সোমবার (১৪জুন) রাতে বগুড়ার বিপ্লব নামে এক যুবককে ফের বিয়ে করেন পলি বেগম। রাত পোহাতেই মঙ্গলবার (১৫ জুন) সকালে নতুন স্বামীর সাথে বাকবিতণ্ডা হলে নতুন ঘরেই চালার সাথে ওড়না জড়িয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করতে যান পলি।
টের পেয়ে চাল কেটে তাকে উদ্ধার করেন বিপ্লব। এরপর বেলা ১১ টার দিকে স্ত্রীকে মণিরামপুর হাসপাতালে ভর্তি করেন বিপ্লব। বিপ্লব বগুড়ার নন্দীগ্রামের শাহাজাহান আলীর ছেলে। পেশায় তিনি ট্রাক চালক। পলি তার দ্বিতীয় স্ত্রী। দেড় বছর সম্পর্কের পর তারা বিয়ে করেছেন। বিপ্লব বলেন, দেড় বছর ধরে আমাদের পরিচয়। সোমবার রাতে আমরা বিয়ে করেছি। মঙ্গলবার সকালে আমার সাথে কথা বলার একপর্যায়ে ঘরের সাথে সংযুক্ত রান্নার কক্ষের দরজা লাগিয়ে দেয় সে। পরে টিনের চালার কাঠের সাথে ওড়না জড়িয়ে গলায় ফাঁস দেওয়ার চেষ্টা করে। আমি টের পেয়ে টিন কেটে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে আনি।
মঙ্গলবার দুপুরে মণিরামপুর হাসপাতালে নারী ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, বেড না পেয়ে নিচে ফ্লোরে চিকিৎসা চলছে পলির। পাশে বসে তার সেবা করছেন বিপ্লব। মণিরামপুর হাসপাতালের নারী ওয়ার্ডের ইনচার্জ সিনিয়র স্টাফ নার্স বন্দনা নন্দি বলেন, এখন পলির অবস্থা উন্নতির দিকে। পরে কী হয় বলা যাচ্ছে না। মণিরামপুর থানার ডিউটি অফিসার সোহেল রানা পারভেজ বলেন, কোনো নারীর আত্মহত্যার চেষ্টার ব্যাপারে থানায় কেউ কিছু জানায়নি।
সূত্র : সুবর্ণ ভূমি