সাভারে রানা প্লাজা ধসে নিহত শ্রমিকদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বালন করেছে আহত শ্রমিক, নিহতদের স্বজন ও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতারা। এ সময় নিহত শ্রমিকদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। মোমবাতি প্রজ্বালন শেষে বিচার চেয়ে নিহত শ্রমিক রাব্বির মা রাহেলা খাতুন কান্নায় ভেঙে পড়েন।
শনিবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সাভারের রানা প্লাজার সামনে অবস্থিত অস্থায়ী বেদিতে এই মোমবাতি প্রজ্বালন কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় নিহত শ্রমিকদের পরিবার ও শ্রমিক সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়। পাশাপাশি রানা প্লাজার ঘটনায় জড়িত অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানানো হয়।
আরও পড়ুন: রানা প্লাজা ধসের ৯ বছরেও মেলেনি ক্ষতিপূরণ
বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম সুজন বলেন, প্রতি বছর এই দিনে আমরা নিহতদের স্মরণে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করি। একইসঙ্গে কিছু দাবি আমরা তুলে ধরি। এবছরও আমরা একইভাবে কিছু দাবি তুলে ধরছি। যার মধ্যে রয়েছে ২৪ এপ্রিলকে জাতীয়ভাবে শোক দিবস হিসেবে ঘোষণা করা, স্থায়ীভাবে রানা প্লাজার সামনে স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করা, রানা প্লাজার জমি অধিগ্রহণ করে ক্ষতিগ্রস্ত ও আহত শ্রমিকদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা, দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা, আহত শ্রমিকদের এক জীবনের আয়ের সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণ এবং নিহত শ্রমিকদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া।
তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন দাবি আমরা তুলে ধরলেও তার কোনোটি আজও বাস্তবায়ন করা হয়নি। এসব দাবি বাস্তবায়নের দাবি জানাই।
মোমবাতি প্রজ্বালন শেষে রানা প্লাজায় নিহত শ্রমিক রাব্বির মা রাহেলা খাতুন বলেন, ছেলে হারানোর নয় বছর হলো। কিন্তু আমরা বিচার পেলাম না। দোষীদের বিচার এখনও নিশ্চিত করতে পারেনি সরকার। দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাই বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।