কোনো কারণে গণপরিবহন বন্ধ হলে রাজধানীতে দাপিয়ে বেড়ায় রিকশা। বৃহস্পতিবারও তেমনটাই দেখা গেছে। তবে শুক্রবার (২ জুলাই) লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে টানা বৃষ্টির কারণে যাত্রী পাচ্ছেন না রিকশাওয়ালারা। রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে ভাড়ার জন্য দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে তাদের। তারা জানিয়েছেন, লকডাউনে জরুরি কিছু প্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও আজ শুক্রবার হওয়ায় প্রায় সবকিছুই বন্ধ। পাশাপাশি জেল-জরিমানার কারণে এমনিতেই ঘর থেকে বের হয়নি মানুষ। ফলে যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না।
রিকশাচালক রফিকুল মিয়া সকাল ৮টায় বের হয়েছেন বাড্ডা এলাকা থেকে। বেলা সাড়ে ১২টার সময় পল্টন এলাকায় তার সঙ্গে এ প্রতিবেদকের কথা হয়। তিনি বলেন, সকাল থেকে মাত্র দুটি ভাড়া পেয়েছি। ৮০ টাকা কামাই। এর মধ্যে অর্ধেক দিন শেষ। তিনি বলেন, ‘কাল যাত্রী ছিল। বড় বড় খ্যাপ। কিন্তু আজ কিছু নাই। দিনের খরচ উঠবে না। রিকশা জমা দেয়ার পরে ঘরে কী নিয়ে ফিরব? আরেক চালক কামাল মিয়া বলেন, ‘একজন যাত্রী এলে সব রিকশাওয়ালা চাতক পাখির মতো চেয়ে থাকি। এত রিকশা দেখে যাত্রীও ভাড়া কম বলে। যার পোষায় সে যায়।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যু রোধে সরকার ঘোষিত সপ্তাহব্যাপী কঠোর বিধিনিষেধে সব ধরনের গণপরিবহন চলাচল বন্ধের নির্দেশনা জারি হয়। জরুরি পণ্য পরিবহনের সঙ্গে জড়িত যানবাহন, রোগী বহনের জন্য অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া জরুরি প্রয়োজনে প্রাইভেটকারসহ কিছু সংখ্যক যানবাহন চলাচল করার অনুমতি রয়েছে। এবারের করোনাকালে রিকশা চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়েছে। লকডাউনের প্রথমদিন প্রচুর রিকশা ছিল। ভাড়াও বেশি নেয়ারও অভিযোগ তুলেছিলেন যাত্রীরা।
স্বাভাবিক সময়ে রাজধানীর ভিআইপি সড়কগুলোতে রিকশা চলাচল সম্পূর্ণ নিষেধ থাকলেও করোনার কল্যাণে কয়েকদিন ধরে ভিআইপি সড়কে রিকশা অবাধে যাতায়াত করছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ভিআইপি সড়কে অবাধে চলাচলের পাশাপাশি বাড়তি আয়ও হচ্ছে চালকদের। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় দূর-দূরান্তের পথ পাড়ি দিতে রিকশাই এখন প্রধান বাহন হয়ে উঠেছে।