চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে করোনাভাইরাসের টিকা অন্যত্র নিয়ে রেজিস্ট্রেশন বিহীনদের দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক মেডিকেল টেকনোলজিস্টের (ইপিআই) বিরুদ্ধে। তার নাম মো. রবিউল ইসলাম।
এ বিষয়ে শনিবার (৩১ জুলাই) পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সব্যসাচী নাথ গণমাধ্যকে বলেন, কারও অনুমতি না নিয়েই রবিউল ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকা দিয়েছেন। সেখানে টিকাদান শুরু হবে ৭ তারিখ থেকে। প্রায় এক হাজার ৫০০ মানুষকে রবিউল টিকা দিয়েছেন। টিকা সংরক্ষণ, সরবরাহের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। সিভিল সার্জন অফিস থেকে টিকা এখানে আনার দায়িত্বও ছিল তার।
রবিউল লোকজনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে এ কাজ করেছেন কি না- জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, এর সঠিক তথ্য আমার কাছে নেই। টিকা প্রদানের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। রোববার পটিয়াতে তদন্ত কমিটির আসার কথা রয়েছে।
শনিবার রাতে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি গণমাধ্যকে বলেন, এ ঘটনায় স্বাস্থ্য পরিচালকের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিস্তারিত বলা যাবে।
টিকা সরানোর বিষয়টি তদন্তে চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবিরের গঠিত কমিটিতে প্রধান করা হয়েছে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. অজয় দাশকে। কমিটিতে আরও রয়েছেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো আসিফ খান এবং সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. নুরুল হায়দার। কমিটিকে দুই কর্মদিবসের মধ্যে বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
তদন্তের নির্দেশনার চিঠিতে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত ছাড়া জেলা, উপজেলা বা বিভাগীয় পর্যায় থেকে কোনো অনুমতি না নিয়ে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট মো. রবিউল হোসেন, গত ৩০ জুলাই ও ৩১ জুলাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে সিনোফার্মের কিছু টিকা ইউনিয়ন পর্যায়ে রেজিস্ট্রেশন বিহীন লোকদের প্রদান করেছেন। এ বিষয়ে সরেজমিন তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হলো।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে রবিউল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।