কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে ফরিদুল ইসলাম (১৯) নামে বাংলাদেশি এক গরু ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। আজ রোববার ভোরে রৌমারী উপজেলার পূর্ব কাউয়ারচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ফরিদুল ইসলাম রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের হরিণ ধরা গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে।
ঘটনার পর বিএসএফ লাশটি নিয়ে যায়। খবর পেয়ে বিজিবি লাশটি ফেরত দেওয়ার জন্য বিএসএফকে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানালেও বিকেল পর্যন্ত বিএসএফ তাতে সাড়া দেয়নি।
বিজিবি ও স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের পূর্ব কাউয়ারচর আন্তর্জাতিক সীমান্তের ১০৫৭ নম্বর পিলারের অধীন ৩৩ নম্বর সাব পিলারের কাছ দিয়ে ১৫ থেকে ২০ জনের একটি দল গতকাল শনিবার রাতে গভীর রাতে ভারত থেকে গরু আনতে যায়। আজ রোববার ভোরে তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে ভারতের কুকুরমারা ক্যাম্পের বিএসএফের সদস্যরা গুলি ছোড়েন। এ সময় অন্যরা দৌড়ে পালাতে পারলেও ফরিদুল গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান।
দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হাফেজ শাহজাহান আলী বলেন, ‘আজ সকালে স্থানীয় লোকজনের কাছে জানতে পারি, ফরিদুল ইসলাম কাউয়ারচর সীমান্তে গরু আনতে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছেন এবং তাঁর লাশটি বিএসএফ নিয়ে গেছে।’
এ প্রসঙ্গে বিজিবি দাঁতভাঙ্গা ক্যাম্প কমান্ডার আনছার আলী বলেন, ‘আজ সকালে জানতে পারি, গরু আনতে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে ফরিদুল নামের একজন নিহত হয়েছেন। আমরা বিএসএফ ক্যাম্পের সাথে যোগাযোগ করেছি। পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে লাশটি আনা হবে।’
রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোন্তাছের বিল্লাহ বলেন, ‘খবর পেয়ে আজ সকালে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। তাঁরা সারা দিন সেখানে থেকে ফিরে এসেছে। লাশ ফেরত দিলে আবার আমরা যাব।’