চলতি বছরে দ্বিতীয় দফায় করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে আগামী সোমবার থেকে সীমিত লকডাউনে ব্যাংক ও শিল্প-কারখানার পাশাপাশি দেশের সব কাস্টমস হাউস, শুল্ক স্টেশন ও স্থলবন্দর খোলা থাকবে। লকডাউনের মধ্যেও স্থল, সমুদ্র ও আকাশপথে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে দেশের সব কাস্টমস হাউস ও শুল্ক স্টেশন খোলার কথা জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পরিচালক (তথ্য) সৈয়দ এ মুমেন।
শনিবার (২৬ জুন) তিনি এ তথ্য জানিয়ে বলেন, রাজস্ব বোর্ডের কার্যক্রমকে জরুরি সেবার আওতায় আনা হয়েছে। সরকারঘোষিত লকডাউনের মধ্যেও কাস্টমস হাউস ও শুল্ক স্টেশনের কার্যক্রম সচল থাকবে। অন্যদিকে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, দেশের ১২টি স্থলবন্দরের সবগুলো লকডাউনের সময় খোলা থাকবে।
বেনাপোল, হিলি, সোনা মসজিদ, ভোমরা, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী, তামাবিল, আখাউড়া, বিবির বাজার, টেকনাফ, নাকুগাঁও ও সোনাহাট। এসব স্থলবন্দরগুলোতে স্বাভাবিক কার্যক্রম চলবে। শনিবার করোনার প্রকোপ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় সোমবার থেকে ফের লকডাউনের সিদ্ধান্তের কথা জানান তথ্য অধিদফতরের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার।
তিনি বলেন, সোমবার থেকে সীমিত পরিসরে লকডাউন হবে। তখন আন্তঃজেলা পরিবহন বন্ধ থাকবে। জুন ক্লোজিংয়ের (আর্থিক বছরের সমাপ্তির হিসাব-নিকাশ) জন্য ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে। বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে সর্বাত্মক লকডাউন হবে। তখন সবকিছু বন্ধ থাকবে। চলতি বছর করোনার প্রকোপ বাড়লে ৫ এপ্রিল থেকে লকডাউন জারি করে সরকার।