ঈদকে কেন্দ্র করে ঘরমুখো যাত্রীদের চাপে ভোলার ইলিশা ঘাট থেকে লক্ষ্মীপুর নৌপথে ভিড় বাড়ছে। কিন্তু ঈদ উপলক্ষেও এই রুটে বাড়ানো হয়নি লঞ্চ। এতে চরম দুর্ভোগে পড়ছেন যাত্রীরা। প্রমত্তা মেঘনা পাড়ি দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে এই নৌপথের যাত্রীদের। মেঘনার এলাকাটি সমুদ্র এলাকাভুক্ত হওয়ায় সমুদ্র পরিবহন অধিদফতরের অনুমতি পাওয়া লঞ্চ এবং সি-ট্রাক ছাড়া অন্য নৌযান এ রুটে চলাচল নিষিদ্ধ। তবে লঞ্চ ও সি-ট্রাক পর্যাপ্ত না হওয়ায় বাধ্য হয়েই যাত্রীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অবৈধ ট্রলারে যাতায়াত করছেন।
বিপজ্জনক এ রুটে উত্তাল মেঘনায় ঝুঁকিপূর্ণ পারাপারের কারণে দুর্ঘটনার শঙ্কাও রয়েছে। এতে ঘরমুখো যাত্রীদের নিরাপদ যাত্রা নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা।
জানা গেছে, ভোলার সঙ্গে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার যোগাযোগের সহজ মাধ্যম হচ্ছে এই নৌপথ। তাই এসব অঞ্চলের যাত্রীদের ভোলা-লক্ষ্মীপুর নৌপথ ব্যবহার করতে হয়। বর্তমানে অনুমতি সাপেক্ষে এই রুটে দুইটি সি-ট্রাক ও একটি লঞ্চ চলাচল করলেও যাত্রীর তুলনায় তা কিছুই না। বাধ্য হয়েই ছোট ছোট ট্রলারে পার হচ্ছেন যাত্রীরা। পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে চরম দুর্ভোগে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে তাদের।
লক্ষ্মীপুর যাওয়ার উদ্দেশে ভোলার ইলিশা ঘাট আসা যাত্রী ফারুক হোসেন জানান, রুটটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এখানে লঞ্চ কম থাকায় মানুষের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
যাত্রী সোহেল তাজ ও ফারুক বলেন, ‘ঈদ উপলক্ষে ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে লঞ্চ বাড়ানো হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে যাত্রীরা ট্রলারে যাতায়াত করছেন।’
অভিযোগ উঠেছে, ঈদ সামনে রেখে এ রুটে লঞ্চ বাড়ানোর দাবি জানানো হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। তাই একশ্রেণির প্রভাবশালী চক্র অবৈধভাবে ট্রলারে যাত্রী পারাপার করছে। অভিযান না থাকায় তারা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এতে যেকোনও সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
অবৈধ ট্রলারে যাত্রী পারাপার বন্ধে অভিযান চলছে বলে জানিয়ে ইলিশা নৌ-পুলিশের ওসি মোহাম্মদ শাহজালাল দাবি করেন, ‘লঞ্চ সংকট থাকায় যাত্রীরা বাধ্য হয়ে ট্রলারে পারাপার হচ্ছেন। আমরা নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি।’
ভোলা নৌবন্দরের বিআইডব্লিটিএ’র সহকারী পরিচালক শহিদুল ইসলাম জানান, ঈদ উপলক্ষে খুব দ্রুত আরও তিনটি লঞ্চ দেওয়া হবে। তখন আর মানুষের ভোগান্তি থাকবে না।