লেজার শো’তে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পদ্মা সেতু নির্মাণের গল্প। মাদারীপুরের শিবচরের বাংলাবাজার ঘাট এলাকার এমন আয়োজন ছিল পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে। এ ছাড়া উৎসবে ছিল আতশবাজি। পরে জনপ্রিয় শিল্পীদের পরিবেশনে মধ্যরাত পর্যন্ত চলে সংগীতানুষ্ঠান। এ অনুষ্ঠান দেখতে ভিড় করেন হাজার হাজার দর্শক।
সোমবার সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত অনুষ্ঠান চলে। এ সময় সাত মিনিটের লেজার শো শেষে আকাশে ফোটানো হয় রঙবেরঙের আতশবাজি। পরে সংগীত পরিবেশন করেন খুরশীদ আলম, দিলশাদ নাহার কনা, মাহমুদুল হক ইমরানসহ জনপ্রিয় শিল্পীরা।
এর সঙ্গে নৃত্য, নাটক ও কবিতা আবৃত্তি পরিবেশন করেন শিল্পীরা। সেতু উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের এই আয়োজন দেখতে ভিড় করেন শিশু-কিশোরসহ সব বয়সের মানুষ।
জানা যায়, ছয় দিনের জমকালো এই আয়োজন বাস্তবায়ন করতে সরকারের পক্ষ থেকে মাদারীপুর জেলা প্রশাসনকে এক কোটি ৩৯ লাখ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন সন্ধ্যায় শুরু হওয়া অনুষ্ঠান চলবে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত।
মাদারীপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরিবেশনায় এ অনুষ্ঠান উপভোগ করেন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ, স্থানীয় সংসদ সদস্য, সরকারি কর্মকর্তাদের পাশাপাশি হাজার হাজার দর্শক। অনুষ্ঠানে আসা দর্শক মনোজ তালুকদার বলেন, ‘প্রথমবারের মতো এত সুন্দর আয়োজন উপভোগ করছি। পরিবারের সবাই একসঙ্গে এই অনুষ্ঠান শুনতে পেরে আনন্দ লাগছে।’
মিজানুর রহমান নামে একজন বলেন, ‘জনপ্রিয় শিল্পীদের সামনাসামনি দেখে, তাদের গান শুনতে পেরে ভালো লাগছে। বন্ধুদের সঙ্গে মধ্যরাত পর্যন্ত এই অনুষ্ঠান উপভোগ করছি।’
কণ্ঠশিল্পী দিলশাদ নাহার কনা বলেন, ‘প্রথমবারের মতো পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে এমন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পেরে গর্বিত।’
কণ্ঠশিল্পী খুরশীদ আলম বলেন, ‘পদ্মা সেতু দেশের গর্ব। সেই সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গান গাইতে পেরে ভালো লাগছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চ্যালেঞ্জ নিয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছেন, তাকে এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি তার কাছে অশেষ কৃতজ্ঞতা।’
মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন জানান, ‘পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে পদ্মাপাড়ের মানুষকে আনন্দ দিতে আমাদের এই আয়োজন। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত আমাদের এই অনুষ্ঠান চলবে।’