দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীদের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা ১ জুলাই থেকে অনলাইনে অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া স্নাতক শেষ বর্ষ এবং স্নাতকোত্তরের স্থগিত পরীক্ষা আগামী ১৫ জুন থেকে একই পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬৫তম একাডেমিক কাউন্সিল সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
এর আগে গত ২০ মে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এছাড়া অনলাইনে অনুষ্ঠিত পরীক্ষার পদ্ধতি ও ধরণ ইত্যাদি নির্ধারণ করতে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে ১৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়।
পরীক্ষা পদ্ধতি বিষয়ে অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, স্বাভাবিক পদ্ধতিতে সেমিস্টার ফাইনাল ৬০ বা ৭০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা হয়ে থাকে। কিন্তু এখন অনলাইনে প্রতি কোর্সে দু’ভাগে পরীক্ষা নেওয়া হবে। অনলাইনে অনুষ্ঠিত লিখিত ৬০ নম্বরের পরীক্ষায় ৩০ ক্রিয়েটিভ অ্যাসেসমেন্ট পদ্ধতিতে এবং বাকি ৩০ নম্বর ভাইভা পদ্ধতিতে নেওয়া হবে। অন্যদিকে, ৭০ নম্বরের পরীক্ষায় ৩০ নম্বর ক্রিয়েটিভ অ্যাসেসমেন্ট পদ্ধতিতে এবং ৪০ নম্বর ভাইভা পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, আমরা চাই শিক্ষার্থীদের যেন সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা যায়।
তিনি আরও বলেন, অনলাইনের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হবে এবং প্রশ্নপত্র হাতে লিখে সমাধানের জন্য ১২ ঘণ্টা সময় দেওয়া হবে। নির্দিষ্ট সময় শেষে উত্তরপত্রের ছবি তুলে জুম অ্যাপ বা গুগল ক্লাসরুমে আপলোড করে জমা দিতে হবে। এ ছাড়া গত ২২ ফেব্রুয়ারি স্নাতক শেষ বর্ষ ও স্নাতকোত্তরের স্থগিত পরীক্ষাগুলো আগামী ১৫ জুন থেকে একই পদ্ধতিতে নেওয়া হবে।
পরীক্ষার সময় বাড়ানোর ব্যাপারে কোষাধ্যক্ষ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাস করেন। সেখানে ইন্টারনেট ব্যবস্থা দুর্বল থাকতে পারে। তাই সে সকল শিক্ষার্থীর কথা বিবেচনা করে সময় বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে গত ফেব্রুয়ারি মাসে অনলাইনে কোর্স রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হলেও সেসময় ইন্টারনেট সমস্যা ও আর্থিক সংকটের কারণে অনেক শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে পারেনি। এসকল শিক্ষার্থীর কথা বিবেচনা করে পুনরায় রেজিস্ট্রেশন করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
উল্লেখ্য, গত ১৭ জানুয়ারি থেকে স্নাতক শেষ বর্ষ ও স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। পরবর্তীতে গত ২২ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে সকল পরীক্ষা স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।