জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, ‘বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ এর কারণে সমগ্র বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও করোনার বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। চলমান কোভিড-১৯ মহামারি দীর্ঘায়িত হলে ব্যাহত হওয়া শিক্ষাখাতকে এগিয়ে নিতে উদ্ভাবনী সমাধান খুঁজছে সরকার। এক্ষেত্রে, অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম বিকল্প সহায়ক হতে পারে।
বৃহস্পতিবার (১০ জুন) স্পিকারের সংসদ ভবনস্থ কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত হ্যারি ভ্যারওয়ের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে তিনি এসব কথা বলেন। সাক্ষাৎকালে তারা অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার, করোনার টিকা কার্যক্রম, তথ্য-প্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিসহ নানা বিষয়ে আলোচনা করেন।
স্পিকার বলেন, ‘প্রথম ধাপে সরকার সুশৃঙ্খলভাবে করোনার টিকা প্রদান কার্যক্রম পরিচালনা করলেও বর্তমানে টিকার আরও চাহিদা বিদ্যমান। করোনাকালীন অর্থনীতিতে বৈশ্বিক মন্দা বিরাজ করলেও বাংলাদেশে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় এবং বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষের দৈনন্দিন জীবন স্বাভাবিক রাখতে সময়োপযোগী কার্যক্রম গ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসারে নেদারল্যান্ডের ধারাবাহিক সহযোগিতা কামনা করেন।
রাষ্ট্রদূত হ্যারি ভ্যারওয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে পঞ্চাশ বছরের কূটনৈতিক সুসম্পর্কের ধারাবাহিকতা স্মরণ করে বলেন, ‘কোভিড-১৯ মোকাবিলা করে ব্যবসা-বাণিজ্যের গতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশের গৃহীত উদ্যোগসমূহ সত্যিই প্রশংসনীয়। প্রথম পর্যায়ে কোভিড ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম বাংলাদেশ সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন হ্যারি ভ্যারওয়ে।