Image default
বাংলাদেশ

শিগগিরই সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত প্রতিবেদন, বলছে র‌্যাব

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেছেন, শিগগিরই সাগর-রুনি হত্যাকান্ডের তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে। সাগর-রুনি হত্যাকান্ডের দুই মাস পর র‌্যাব এই হত্যা মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায়। সেই থেকে সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে, পেশাদারিত্বের সঙ্গে এই মামলার তদন্ত করছে র‌্যাব। সব তদন্ত অল্প সময়ে হয় না। আমরা চাই, কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি যেন দোষী সাব্যস্ত না হয়। আমরা তদন্তের ক্ষেত্রে দেশের গন্ডি পেরিয়ে আলামত আমেরিকায় পাঠিয়েছি। ডিএনএ রিপোর্টগুলো আমরা কয়েক দিন আগে হাতে পেয়েছি। সেগুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে। মামলায় এ পর্যন্ত ১৬০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে র‌্যাব। সন্দেহভাজনদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা সেই প্রতিবেদন জমা দেব।

এক দিন সাগর-রুনি হত্যার বিচার পাব : সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকান্ডের বিচার চেয়ে সরকারের কাছে স্মারকলিপি দিয়েও লাভ হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু। তিনি বলেন, আমরা আগেও প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি, তাতেও কোনো কাজ হয়নি। তবে আমরা হতাশ হতে চাই না, এক দিন সাগর-রুনি হত্যার বিচার পাব। গতকাল বেলা ১১টায় ডিআরইউ প্রাঙ্গণে সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যার বিচার দাবিতে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব বলেন। তবে র‌্যাব বলছে, সর্বোচ্চ গুরুত্ব ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে এ মামলার তদন্ত করছে তারা। ডিআরইউ আয়োজিত এ প্রতিবাদ সমাবেশে সাংবাদিক সংগঠনগুলোর সমালোচনা করে নজরুল ইসলাম মিঠু বলেন, বাংলাদেশের যেসব সাংবাদিক সংগঠন আছে তারা আজকে অন্তত একটা কর্মসূচি দিতে পারত। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি প্রাণের তাগিদেই এই কর্মসূচি একের পর এক দিয়ে যাচ্ছে। আমরা সাগর-রুনি হত্যার বিচার দাবিতে সোচ্চার আছি এবং থাকব। আমরা নিশ্চিত যে এক দিন এই বিচার পাব। আমরা হতাশ হতে চাই না, আমরা চাই বাংলাদেশ সরকার তার নাগরিকদের অধিকার নিশ্চিত করবে।

সমাবেশে মাছরাঙা টেলিভিশনের চিফ নিউজ এডিটর রাশেদ আহমেদ বলেন, আমরা আশা ছাড়তে চাই না। আমরা বিশ্বাস করি রাষ্ট্র এই হত্যাকান্ডের বিচার করবে। তদন্ত প্রতিবেদনে যাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে তাদের নাম প্রকাশ করতে তিনি আহ্বান জানান। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ বলেন, সাংবাদিক পেশার দুজন মানুষকে এক দশক আগে হত্যা করা হয়েছে। আদালত যদি এ বিচারের দিকে সুদৃষ্টি দেয় তবে সারা দেশের মানুষের প্রত্যাশার বিচার দ্রুত শেষ হবে। ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু বলেন, ২০১২ সালের এ দিনে সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনি খুন হন। ওই বছর আমাদের প্রতিবাদের বছর ছিল। সারা দেশে দলমত নির্বিশেষে যে ঐক্য গড়ে উঠেছিল সেটির কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল এই ডিআরইউ। কিন্তু আজ পর্যন্ত আমরা সেই বিচার পাইনি। দফায় দফায় তদন্ত প্রতিবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছে ৮৫ বার। হয়তো কয়েক দিন পর সেটি ১০০ পার হয়ে যাবে।
প্রতিবাদ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম হাসিবসহ অন্যান্য সাংবাদিক নেতারা।

তথ্য সূত্র : বিডি প্রতিদিন

Related posts

কুমিল্লায় বন্যা: রাত জেগে বেড়িবাঁধ পাহারা

News Desk

আজ থেকে কার্যকর হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত বন্ধের ঘোষণা

News Desk

অনুপ ভট্টাচার্যের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক

News Desk

Leave a Comment