পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল উঠতে দেওয়া হচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট থেকে ফেরিতে পদ্মা নদী পার হচ্ছেন মোটরসাইকেলচালকরা।
সোমবার (২৭ জুন) সকাল ১০টায় শিমুলিয়ার ৩ নম্বর ঘাট থেকে শতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে ফেরি কুঞ্জলতা মাঝিকান্দিঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। ঘাট এলাকায় আরও শতাধিক মোটরসাইকেল পারের অপেক্ষায় রয়েছে।
মোটরসাইকেলচলক জসিম উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, ‘অনেক স্বপ্ন বুনেছিলাম, ভেবেছিলাম পদ্মা সেতু চালু হয়ে গেলে আর কোনও সমস্যা হবে না। প্রতিদিন ফরিদপুর থেকে এসে ঢাকায় অফিস করবো। কিন্তু পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল নিয়ে ওঠা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’
বেসরকারি চাকরিজীবী জনি মিয়া বলেন, ‘পরিবার নিয়ে রাজধানীর মানিকনগর এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতাম। পদ্মা সেতু চালু হবে, তাই গত মাসে বাসা ছেড়ে নিজ বাড়িতে চলে আসি। এখন যদি সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে পার হতে না দেয়, তাহলে বিপদে পড়ে যাবো। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাচ্ছি, যেন আমাদের সেতু পারাপারের সুযোগ করে দেয়।’
বিআইডব্লিউটিসি’র শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) ফয়সাল আহমেদ জানান, সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল পারাপার না করতে দেওয়ায় কিছু সংখ্যক মোটরসাইকেল শিমুলিয়া ঘাটে এসে জড়ো হয়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রায় দুই শতাধিক মোটরসাইকেল ফেরি কুঞ্জলতা করে পার করা হয়েছে। স্বল্প পরিসরে ফেরি চালু রয়েছে। তবে ঘাট এলাকা পুরোটাই ফাঁকা। সকাল থেকে পাঁচটি লঞ্চ ও ১৮-২০টি স্পিডবোট চলাচল করেছে।
লৌহজং এসিল্যান্ড ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইলিয়াস হোসেন জানান, আজ সকাল থেকে পদ্মা সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল পার হতে দেওয়া যাচ্ছে না। শিমুলিয়া ফেরিঘাট থেকে একটি ফেরি প্রায় দুই শতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে রওনা হয়েছে। ফেরি ফরিদপুর স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে। যদি মোটরসাইকেল আসে তাহলে এই ঘাট দিয়ে পার হতে পারবে। তবে এখন ঘাট এলাকায় তেমন মোটরসাইকেল নেই।