Image default
বাংলাদেশ

শিশুশ্রম নির্মূল করে শিশুকে বাধ্যতামূলক শিক্ষা দিতে হবে: আবদুল হামিদ

উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হলে শিশুর সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করে তাদের সুযোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তিনি বলেন, ‘সেজন্য শিশুশ্রম নির্মূল করে বাধ্যতামূলক শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে শিশুর যথাযথ বিকাশ নিশ্চিত করতে হবে।’

আজ শনিবার বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘ ২০২১ সালকে আন্তর্জাতিক শিশুশ্রম নিরসন বছর হিসেবে ঘোষণা করায় এ বছরের বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস উদযাপন বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। শিশুশ্রম একটি জাতীয় সমস্যা। উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হলে শিশুর সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করে তাদের সুযোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই। আর সেজন্যই শিশুশ্রম নির্মূল করে বাধ্যতামূলক শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে শিশুর যথাযথ বিকাশ নিশ্চিত করতে হবে।’

আবদুল হামিদ বলেন, ‘বাংলাদেশ এ বছর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করছে। তাই শিশুদের সার্বিক বিকাশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে যথাযথ কর্মসূচি গ্রহণ করার এখনই সময়। সরকার এসডিজি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসন এবং ২০২৫ সালের মধ্যে দেশকে সব ধরনের শিশুশ্রম হতে মুক্ত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।’

রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদ ও ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রমবিষয়ক আইএলও-কনভেনশন অনুসমর্থনকারী দেশ। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিবিষয়ক এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য শিশুশ্রম নিরসনকে অন্যতম সূচক হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। বিষয়টি জাতিসংঘের পিরিয়ডিক্যাল রিভিউতে এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সঙ্গে প্রণীত বাংলাদেশের শ্রম খাতের জাতীয় কর্মপরিকল্পনায় এজেন্ডাভুক্ত রয়েছে।’

শিশুশ্রম নির্মূল ও শিশুর বিকাশে বর্তমান সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘শিশুশ্রম নিরসনে ২০১০ সালে ‘‘জাতীয় শিশুশ্রম-নিরসন নীতিমালা’’ প্রণয়ন করা হয়েছে। এ নীতিমালা-বাস্তবায়নে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা তৈরি ও শিশুদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ কাজের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। শিশুশ্রম নির্মূলে জাতীয়, বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কমিটি গঠনের মাধ্যমে চারস্তর বিশিষ্ট প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো প্রস্তুত করা হয়েছে। এ ছাড়া এ বছর ছয়টিসহ এ পর্যন্ত মোট আটটি শিল্পখাতকে শিশুশ্রমমুক্ত করা হয়েছে।’

রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘সবার আন্তরিক প্রচেষ্টায় সব প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতকে শিশুশ্রমমুক্ত করার মাধ্যমে বাংলাদেশকে শিশুশ্রমের অভিশাপ থেকে মুক্ত করা সম্ভব হবে।’

Related posts

হারিয়ে যাওয়ার ৪১ বছর পর খোঁজ মিললো একলিমার

News Desk

মুন্সিগঞ্জে আওয়ামী লীগের এক পক্ষের হামলায় অন্য পক্ষের ৯ জন আহত

News Desk

মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বাবার অটোরিকশায় আগুন

News Desk

Leave a Comment