লকডাউনের কারণে ক্ষুদ্র ও মাঝারী ব্যবসায়ীরা তাদের পুজি হারিয়ে পথে বসেছেন লাখ লাখ ব্যবসায়ী । এবারের বৈশাখেও বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। এখন ঈদ কেন্দ্রিক ব্যবসা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা। তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট ও বিপণিবিতান খুলে দেয়ার দাবি করছেন লকডাউনের শুরু থেকেই ।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, সরকারের উপর মহলে কথা হয়েছে। রোববার প্রজ্ঞাপন দিলে পরদিন সোমবার থেকে আমরা দেশের সব দোকানপাট ও বিপণিবিতান খুলে দেবো। প্রধানমন্ত্রী আমাদের অভিভাবক, তার কাছে আবেদন জানিয়েছি,কখনো উনার কাছে আবেদন করে খালি হাতে ফেরত আসিনি।দোকান ও শপিং মল খুলে দেয়া হলে ব্যবসায়ীরা শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসা করবে বলে মনে করছেন হেলাল উদ্দিন।
শর্তসাপেক্ষে মার্কেটের দোকান খোলা রাখার নির্দেশনা দেয়া হতে পারে।এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে জনসংযোগ কর্মকর্তা আবদুল্লাহ শিবলী সাদিক বলেন, লকডাউন শিথিল ও শপিং মল-দোকান খোলার চূড়ান্ত কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে এসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সরকার বিবেচনা করবে। মার্কেটগুলোর ব্যবসায়ীরা বলছেন, সঙ্কটের মধ্যে আমাদের দিন যাচ্ছে। এ মুহূর্তে সরকার দোকান খোলার ঘোষণা না দিলে আমাদের পথে বসা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। সরকারের বিধি-নিষেধ মেনেই আমরা ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান চালু করবো।
এর আগে সরকার ঘোষিত এক সপ্তাহের কঠোর বিধি-নিষেধের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান খোলার দাবিতে সারাদেশে বিক্ষোভ করেছিলেন ব্যবসায়ীরা। রাজধানীর গুলিস্তানে বিক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এছাড়া করোনা পরিস্থিতিতে বিধি-নিষেধের মেয়াদ না বাড়ানোর দাবিও জানিয়েছেন বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীরা। তখন সরকারের তরফ দোকান-শপিংমল খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছিলো।