টানা বর্ষণ আর ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের তিনটি উপজেলায় দেখা দিয়েছে বন্যা। এতে জেলার নিম্নাঞ্চলের অন্তত দেড়শ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে আছে লাখো মানুষ। বন্যাকবলিত এসব এলাকায় জরুরি ত্রাণ সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (৯ অক্টোবর) রাতে ডুয়েট শিক্ষার্থীদের ত্রাণ সহযোগিতা পৌঁছেছে শেরপুরে। জানা যায়, ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ীর ওপর দিয়ে যাওয়া মহারশি ও ভোগাই নদীর অন্তত ১০ জায়গায় বাঁধ ভেঙে গেছে। প্লাবিত হয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট ও আবাদি জমি। সেখানকার বন্যা পরিস্থিতি ক্রমান্বয়ে ভয়াবহ অবস্থায় রূপ নিচ্ছে। প্রাথমিকভাবে এসব ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় শুকনো খাবার, প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র এবং বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করার কথা জানিয়েছে ডুয়েট শিক্ষার্থীরা।
ত্রাণ সরবরাহে দায়িত্বরত ডুয়েট শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের পক্ষ থেকে প্রথম পর্যায়ের ত্রাণ সহযোগিতা ইতোমধ্যেই শেরপুরে পৌঁছেছে। শিগগিরই তাদের আরেকটি প্রতিনিধিদল বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শনে যাবে এবং খোঁজখবর নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে। পরিস্থিতির অবনতি হলে তারা আরও ত্রাণ সাহায্য পাঠাবেন, একইসঙ্গে উদ্ধার কার্যক্রমও চালাবেন।
এছাড়াও উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা বিশেষ করে কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী, গাইবান্ধাসহ অন্যান্য বন্যাকবলিত এলাকায়ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের জন্য পুনর্বাসন নিয়ে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন ডুয়েট শিক্ষার্থীরা। সরকার এবং দেশবাসীকেও বন্যার্তদের পাশে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তারা।