শের-ই-বাংলা মেডিক্যালের পরিচালকের পদত্যাগ, সেনাবাহিনী থেকে নিয়োগ দাবি
বাংলাদেশ

শের-ই-বাংলা মেডিক্যালের পরিচালকের পদত্যাগ, সেনাবাহিনী থেকে নিয়োগ দাবি

ইন্টার্ন ও মিড লেভেলের চিকিৎসক এবং শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেছেন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম। একই সঙ্গে সেনাবাহিনী থেকে বিগ্রেডিয়ার জেনারেল পদমর্যাদার একজনকে পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দিতে সরকারের নিকট দাবি তোলা হয়।

রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টা থেকে পরিচালকের কক্ষের সামনে তার পদত্যাগের একদফা দাবিতে অবস্থান নেয় বিক্ষোভকারীরা। তাদের শান্ত করতে পরিচালকের কক্ষে বৈঠকে বসেন বিভাগীয় কমিশনার শওকত আলীসহ সেনাবাহিনী ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। কিন্তু বিক্ষোভকারীদের শান্ত করতে ব্যর্থ হয়ে তারা পরিচালকের কক্ষ ত্যাগ করেন।

এরপর পরিচালক পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করেন। এ সময় শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. ফয়জুল বাশার উপস্থিত ছিলেন।

পরিচালকের পদত্যাগের পর বিক্ষোভকারী ইন্টার্ন ও মিড লেভেলের চিকিৎসকরা বলেন, ‘গেলো চার বছর দায়িত্ব পালনকালে দুর্নীতি ছাড়া কোনও উন্নয়ন করতে পারেননি পদত্যাগকারী পরিচালক। এ কারণে হাসপাতালের চিকিৎসাসেবার কোনও উন্নয়ন হয়নি। হয়েছে পরিচালক ও তার দোসরদের পকেট ভারী।’ হাসপাতালের উন্নয়নে সেনাবাহিনী থেকে একজন পরিচালক নিয়োগের দাবি জানান তারা।

এদিকে, যখন পরিচালকের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন চলছিল একই সময় চিকিৎসা না পেয়ে রোগীর স্বজনরা সেখানে এসে বিক্ষোভ করেন। চিকিৎসা না দিলে তারাও আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দেন। এ কারণে বিক্ষোভকারীরা দ্রুত চিকিৎসাসেবায় ফিরে যান। এতে করে কর্মবিরতির একদিন পর চিকিৎসাসেবা স্বাভাবিক হয়।

এদিকে নারী চিকিৎসক ও নার্সকে লাঞ্ছিত করার ঘটনার বিচার দাবিতে আজ সকাল ১০টায় হাসপাতালের সামনের সড়কে মানববন্ধন করেছে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)। এ সময় ড্যাবের নেতৃবৃন্দ হামলাকারীদের বিচারের দাবি জানান।

গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাতে শিশু বিভাগে একজন রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে নারী চিকিৎসক ও নার্সকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন রোগীর স্বজনরা। ওই ঘটনার পর থেকে সকল ধরনের চিকিৎসাসেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ ঘটনার বিচার দাবিতে শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) চার দফা দাবি পরিচালকের নিকট তুলে ধরেন বিক্ষুব্ধরা। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন দৃশ্যমানের কথা থাকলেও কোনও ধরনের পদক্ষেপ নেননি পরিচালক।

এ ছাড়া দায়িত্বপালনকালে গত চার বছর ব্যাপক দুর্নীতিতে নিমজ্জিত থাকা এবং ছাত্র আন্দোলন চলাকালে শান্তি সমাবেশ করেন বলে অভিযোগ তুলে পরিচালকের পদত্যাগ দাবি করা হয়।

অপরদিকে, নারী চিকিৎসককের ওপর হামলার ঘটনায় ২৭ সেপ্টেম্বর রাতে ওয়ার্ড মাস্টার আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে একমাত্র হামলাকারী সাথী বেগমকে আসামি করে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ‘আসামিকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

Source link

Related posts

খালি বোতল দিয়ে তৈরি হলো পূজার গেট

News Desk

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে হালদায় ডিম সংগ্রহ এবার তলনিতে

News Desk

কম দামে দোকান বিক্রি করে দিচ্ছেন বাংলাবাজারের হোটেল ব্যবসায়ীরা

News Desk

Leave a Comment