Image default
বাংলাদেশ

শের-ই-বাংলা মেডিক্যালে ৪টি নতুন ইউনিট চালু

দীর্ঘ ৫১ বছর পর বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগে চারটি নতুন ইউনিট চালু করা হয়েছে। এ ছাড়া আন্তবিভাগে অ্যান্ড্রোক্রাইনোলজি (ডায়াবেটিস), বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ও নিউরোসার্জারি ওয়ার্ড চালুর কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) হাসপাতালের পরিচালক ডা. এসএম সাইফুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বন্ধ থাকা সিটিস্ক্যান, চোখ পরীক্ষার লেসিক মেশিন ও এনজিওগ্রাম মেশিন সচল করার কাজ চলছে। নতুন একটি এমআরআই মেশিন আনার প্রক্রিয়াও চূড়ান্ত পর্যায়ে। নতুন বহির্বিভাগ হচ্ছে– কার্ডিওলজি, গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজি, ইউরোলজি আউটডোর ও ভাসকুলার সার্জারি।

হাসপাতালের পরিচালক ডা. এসএম সাইফুল ইসলাম জানান, বিশেষায়িত শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সব ধরনের রোগের চিকিৎসার জন্য আন্তবিভাগ ও বহির্বিভাগ থাকা বাধ্যতামূলক। কিন্তু চিকিৎসক সংকট ও স্থান স্বল্পতায় একাধিক রোগের আন্তবিভাগ ও বহির্বিভাগ সেবা চালু করা যাচ্ছিল না। বিশেষ করে কার্ডিওলজি (হৃদরোগ) চিকিৎসার বহির্বিভাগ চালু না থাকায় দরিদ্র রোগীরা চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হয়ে বড় ধরনের ঝুঁকিতে পড়ছেন।

পরিচালক আরও জানান, ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়ন কমিটির সভায় সভাপতি আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ জরুরি ভিত্তিতে হৃদরোগ বহির্বিভাগ চালুর নির্দেশ দেন। এরপর সাত বছর ফাইলবন্দি ছিল বিষয়টি। পরিচালক হিসেবে যোগদানের পরপরই স্বাস্থ্যসেবা কমিটির পুরনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেন তিনি। এরই অংশ হিসেবে বুধবার চালু করা হয়েছে বহির্বিভাগে চারটি ইউনিট। এ ছাড়া ঢাকার সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোর থেকে চারটি অত্যাধুনিক আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন আনা হয়েছে। ভারত সরকারের দেওয়া একটি আইসিইউ সংযুক্ত অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া গেছে। করোনা হাসপাতাল ৫০ থেকে এখন ৩০০ শয্যায় উন্নীত ও আইসিইউ শয্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ডায়ালাইসিসের ১০টি মেশিন সার্বক্ষণিক চলমান রাখতে সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়। শিগগিরই বসানো হবে অক্সিজেন জেনারেটর।

হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়ন কমিটির সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসুরক্ষা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়ার প্রচেষ্টায় বহির্বিভাগগুলো চালু করা সম্ভব হয়েছে বলে জানান তিনি।

দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের উন্নত চিকিৎসার লক্ষ্যে ১৯৭০ সালের ২০ নভেম্বর শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু হয়। প্রতিষ্ঠার সময় থেকে জেনারেল হাসপাতালের কার্যক্রম পরিচালিত হতো। ২০২০ সালে স্বাস্থ্য অধিদফতর জেনারেল হাসপাতালকে ১০০ শয্যায় উন্নীত করে। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালকে উন্নীত করে এক হাজার শয্যায়।

 

Source link

Related posts

পরীক্ষামূলক বাতি জ্বললো পদ্মা সেতুতে

News Desk

এমপিদের পৃথক পরিচয়ে নতুন নকশার স্টিকার চায় সংসদীয় কমিটি

News Desk

ইউক্রেনের চার অঞ্চল রাশিয়ায় যুক্ত করার ঘোষণা পুতিনের, এরপর কী?

News Desk

Leave a Comment