বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, আজকে দেশে অর্থনৈতিক সংকট, ডলার সংকট, রেমিট্যান্স সংকট— সব সংকট হচ্ছে। এ অবস্থায় কার ওপর ভরসা করতে হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রার জন্য? এই ডলারটা আয় করে কে? আমার গার্মেন্টস শ্রমিকরা। আমার প্রবাসী শ্রমিকরা। সেই তাদের মজুরি দেবো না, তাদের কথা শুনবো না, তাদের টেড ইউনিয়ন করতে দেবো না, আর আমি সংকট দূর করবো, সেটা তো হয় না।
শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘বাংলাদেশের শ্রমিক আন্দোলনের অতীত ও বর্তমান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মেনন বলেন, ‘পাটকল বন্ধ করে দেওয়ার পর পাট চাষি ও শ্রমিকরা অসহায় হয়ে পড়েছে। অনেক শ্রমিক, চাষি আত্মহত্যা করেছে। এর মাধ্যমে সরকার কেবল পাট চাষি বা শ্রমিকদের পেটে লাথি মারে নাই, বরং এর মাধ্যমে সরকার সংবিধানকে বলাৎকার করেছে।’
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি বলেন, ‘আমি তরুণদের আহ্বান জানাই— সামনে খুব কঠিন দিন আসছে। সারাদিন মোবাইলে বসে এই সংকট নিরসন করা যাবে না৷ আজকে মাঠে শ্রমিকের জন্য, কৃষকের অধিকারের জন্য দাঁড়াতে হবে।’
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ’৫০ দশক ও ৬০ দশক শ্রমিক আন্দোলন রাজনীতিতে সহায়ক ছিল। তারপর ছাত্র আন্দোলন গড়ে ওঠার পর তা সামনে আসলো। দুই শক্তি একত্রিত হয়ে একই আওয়াজ তুলতাম। কিন্তু এখন দুনিয়ায় মজদুর এক হও, সেই আওয়াজ আর ওঠে না। এখন আর সেভাবে শ্রমিক আন্দোলন সংগঠিত হয় না। যখন দুনিয়ায় মজদুর এক হও সেই আওয়াজ উঠেছে, তখন শ্রমজীবী মানুষের রাষ্ট্রের কথা বলা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আজকে শ্রমিদের সংগঠন করাও উপেক্ষিত হয়ে গেছে। এই ট্রেড ইউনিয়নকে রাজনৈতিক দলগুলোর আন্দোলনে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।’