নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে অবাধ্য সন্তানদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী মো. সাইজুদ্দিন মিয়া। শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে সাইজুদ্দিন মিয়া বলেন, ‘প্রথম ঘরের সন্তানরা উশৃঙ্খল জীবন যাপন করছে। জুয়ায় আসক্ত হয়ে অর্থ নষ্ট করছে। এই অবস্থায় টাকা না দেওয়ায় আমাকে হুমকি দিয়ে আসছে তারা। আমার সম্পত্তি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তাদের নামে লিখে দিতে বলছে। নয়তো আমার ছোট স্ত্রী ও ওই ঘরের সন্তানকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। বার বার হুমকির মুখে গত ৮ ডিসেম্বর আদালতে ৭ ধারায় মামলা করেছি। মামলা করে বাড়ি যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমর প্রথম স্ত্রীর ঘরের ৩ ছেলে রফিকুল ইসলাম, তরিকুল ইসলাম বাবু ও শাহজাহান মিয়া এবং তিন পুত্রবধূসহ কন্যা রহিমা আক্তার ও শাহারা আক্তার ডেইজি বহিরাগত সন্ত্রাসী নিয়ে আমাকে ও আমার ছোট স্ত্রীর ঘরের একমাত্র সন্তান আতিকুল ইসলাম শান্তকে মারধর করে পা ভেঙে দেয়। আর আমার স্ত্রীর হাত ভেঙে দেয়। এ সময় আমাকে গুরুতর জখম করে। এছাড়াও আমাদের ঘরের ভেতরে আটকে রেখে অত্যাচার করে আসছে।’
তিনি বলেন, ‘এসব অত্যাচার নির্যাতন থেকে পরিত্রাণ পেতে ‘৯৯৯’ নম্বরে ফোন করলে পুলিশ আসে। কিন্তু তাদের সন্ত্রাসী বাহিনীর তোপের মুখে পুলিশও চলে যায়। তাদের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে অবশেষে আদমজী এলাকায় চলে আসি। পরে প্রথম ঘরের সন্তনদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করি। তবে সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে স্থানীয় থানার এসআই সিরাজ মামলাটি যথাযথ ধারায় সুষ্ঠু তদন্ত করছে না। যে কারণে আমরা উক্ত অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি দিয়েছি। এতে আদালত মামলাটি সিআইডি’র কাছে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন। এদিকে আমাদের বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে আলমারীর সিন্দুক ভেঙে নগদ অর্থ, সোনার গহনা, দলিলসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজ নিয়ে গেছে সন্ত্রাসীরা। এছাড়া আমার মালিকানাধীন সাইজুদ্দিন ও শান্ত টেক্সটাইল মিলের প্রায় ২ কোটি টাকার মালামাল লুট করেছে।’
এ ব্যাপারে মন্তব্য জানার জন্য ভুক্তভোগী সাইজুদ্দিন মিয়ার বড় ছেলে রফিকুল ইসলামের ফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোনে পাওয়া যায়নি।