বন্যাদুর্গত ফেনী, নোয়াখালী এবং কুমিল্লার বুড়িচং ও চৌদ্দগ্রামে পানিতে আটকে পড়া সাড়ে ৯ হাজার মানুষকে উদ্ধার করেছে কুমিল্লা সেনানিবাসের ৩৩ পদাতিক ডিভিশন। এর মধ্যে বন্যাকবলিত ফেনী থেকে অসুস্থ অবস্থায় অন্তঃসত্ত্বা এক নারীকে উদ্ধার করা হয়েছিল। তিনি সেনা হাসপাতালে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।
একইসঙ্গে সাড়ে চার হাজার মানুষকে ত্রাণ সহায়তা দিয়েছেন বাহিনীর সদস্যরা। এখনও উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে। বুধবার (২৩ আগস্ট) থেকে শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত তিন জেলায় এই উদ্ধার অভিযানের তথ্য নিশ্চিত করেছে সেনাবাহিনী।
কুমিল্লা সেনানিবাসের ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম বন্যাদুর্গত এলাকায় উপস্থিত থেকে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করছেন বলে জানিয়েছেন।
কুমিল্লা সেনানিবাস সূত্র জানায়, বন্যাদুর্গত অন্তত ২০ জন রোগীকে ফেনী থেকে সেনাবাহিনীর অ্যাভিয়েশন হেলিকপ্টারে করে কুমিল্লা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) এনে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে ফুলগাজী উপজেলা থেকে গুরুতর অসুস্থ এক অন্তঃসত্ত্বা নারীকেও আনা হয়েছিল। শুক্রবার দুপুরে তিনি ছেলেসন্তানের জন্ম দিয়েছেন। মা-ছেলে দুজনেই সুস্থ রয়েছেন। অসুস্থ সবাইকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি বর্তমান বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনাবাহিনী ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধার অভিযান পরিচালনা, জরুরি চিকিৎসা সেবা প্রদান এবং ত্রাণ বিতরণে সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছে।