পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ভাদুঘর শাহী মসজিদ ময়দান থেকে আহলে সুন্নাত ওয়াল-জামায়াতের আয়োজনে এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ভাদুঘর বাস টার্মিনালে এসে শেষ হয়। র্যালিতে নেতৃত্ব দেন দাওয়াতে ইমানি বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মুফতি গিয়াস উদ্দিন আত তাহেরি। এতে কয়েক হাজার মুসল্লি রং-বেরঙের পতাকা নিয়ে অংশগ্রহণ করেন।
র্যালি শেষে ভাদুঘর বাস টার্মিনাল এলাকায় তাহেরি বলেন, ‘রাষ্ট্রীয়ভাবে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীকে স্বীকৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজকের মিছিল থেকে ওনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বের ১৫৫টি দেশে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালন করা হচ্ছে। বাংলাদেশের সরকার ঈদে মিলাদুন্নবীকে সরকারিভাবে স্বীকৃতি প্রদান করেছে। আজকে নবীর আগমনের দিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আশেকে রাসুলের ঢল নেমেছে। যেই দিনে মানবতার মুক্তির দিশারি হজরত মুহাম্মদ (সা.) এসেছেন দুনিয়ায়। তার শুভ আগমনে আমরা আনন্দ র্যালি করেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আহ্বান করবো আমরা যেন পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অলিতে গলিতে নবীর আগমনের দিনটি পালন করতে পারি। আমরা বারবার বাধার সম্মুখীন হই। এভাবে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে শুধু এক গোষ্ঠী বাস করে না এখানে সব গোষ্ঠীর লোক বাস করে। আহলে সুন্নাত ওয়াল-জামায়াত মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তির সঙ্গে সম্প্রীতি নিয়ে পথ চলে। সেই সম্প্রীতির পথে যারা বাধা দিতে চায় তাদের ক্ষেত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দৃষ্টি রাখার আহ্বান করছি।’
প্রায় ১৪০০ বছর আগে এই দিনে (১২ রবিউল আউয়াল) বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (স.) জন্মগ্রহণ করেন। আবার ৬৩ বছর বয়সে একই দিনে তিনি ইন্তেকাল করেন।
র্যালিকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ও র্যাবের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।