খুলনার সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে। যশোর সদর উপজেলার সিঙ্গিয়া রেলস্টেশন এলাকায় তেলবাহী ট্রেনের দুটি বগি লাইনচ্যুত হওয়ার প্রায় সাড়ে সাত ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এই পথে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।
এর আগে ভোর ৩টা ৫০ মিনিট থেকে খুলনার সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই পথে চলাচল করা আটটি ট্রেন আটকে যাওয়ায় কয়েক হাজার যাত্রী দুর্ভোগে পড়েন। দুর্ঘটনার পর একটি ওয়াগন থেকে ৩৫ হাজার লিটার ডিজেল পড়ে যায়।
যশোর রেলওয়ে জংশনের মাস্টার মো. আয়নাল হাসান বলেন, বগি লাইনচ্যুত হওয়া ট্রেনটি তেল নিয়ে খুলনা থেকে নাটোরে যাচ্ছিল। ভোর পৌনে ৪টার দিকে সিঙ্গিয়া রেল স্টেশন থেকে একটু দূরে বানিয়ারগাতি ক্রসিংয়ে ট্রেনটির দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এতে খুলনার সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। খুলনা থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করে। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
যশোর সিঙ্গিয়া রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার কে এম রিয়াদ হাসান জানান, বানিয়ারগাতি রেল ক্রসিংয়ে পৌঁছালে ট্রেনটির পেছনের অংশের একটি ডিজেল ভর্তি ওয়াগন উল্টে খাদে পড়ে যায়। এ ঘটনা কেউ হতাহত হয়নি। তবে ওয়াগনে থাকা ৩৫ হাজার লিটার ডিজেল ওই খাদে পড়ে যায়। পরে এলাকাবাসী ওই তেল তুলে নিয়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা আফজাল হোসেন বলেন, ভোরে রেল দুর্ঘটনার খবর শুনতে পাই। ঘটনাস্থলে এসে দেখি ট্রেন উল্টে ডিজেল পড়ে গেছে।
তেল সংগ্রহ করা মনিরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি বলেছেন, ডিজেল তেল পানিতে পড়ে গেছে। আমরা বালতি ড্রামে করে তুলে নিয়ে যাচ্ছি। কেউ বিক্রি করবে আবার কেউ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করবে।