করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও ১০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৪ হাজার ২৭৬ জনে। ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১০৪ জনের মধ্যে পুরুষ ৬৮ জন ও নারী ৩৬ জন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮২ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ১৫ জন ও বাসায় সাতজনের মৃত্যু হয়।
এই সময়ে রেকর্ড আট হাজার ৩৬৪ জনের দেশে করোনার জীবাণু শনাক্ত হয়েছে। গতবছর দেশে করোনা মহামারি শুরুর পর যা একদিনে সর্বোচ্চ। এ নিয়ে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল আট লাখ ৯৬ হাজার ৭৭০ জনে। সোমবার (২৮ জুন) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ৫৫৪টি ল্যাবরেটরিতে ৩৬ হাজার ৭৮৩টি নমুনা সংগ্রহ ও ৩৫ হাজার ৫৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ৬৫ লাখ ৪১ হাজার ৮৪০টি। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ। গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার ১৩ দশমিক ৭১ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন তিন হাজার ৫৭০ জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা আট লাখ সাত হাজার ৬৭৩ জন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক শূন্য ছয় শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ১০৪ জনের মধ্যে বয়সের হিসাবে বিশোর্ধ্ব পাঁচজন, ত্রিশোর্ধ্ব চারজন, চল্লিশোর্ধ্ব ১৪ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ২৩ জন ও ষাটোর্ধ্ব ৫৮ জন রয়েছেন।
বিভাগওয়ারী হিসাবে দেখা গেছে, ঢাকা বিভাগে ২৭ জন, চট্টগ্রামে ১৯ জন, রাজশাহীতে সাতজন, খুলনায় ৩৫ জন, বরিশালে দুইজন, রংপুরে ৯ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে পাঁচজনের মৃত্যু হয়। করোনায় গতকাল রোববার ১১৯ জনের মৃত্যুর তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর। এটিই এখন পর্যন্ত দেশে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।