পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিতে প্লাবিত হয়েছে সিলেট নগরীসহ ১৩টি উপজেলা। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন কয়েক লাখ মানুষ। এসব অসহায় মানুষকে উদ্ধার ও তাদের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার কাজ চলছে। এছাড়া বন্যার্তদের মধ্যে কিছু মানুষ জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে খোলা ৩৫৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে জায়গা পেয়েছেন। জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে এখন পর্যন্ত কেন্দ্রগুলোতে নারী, পুরুষ ও শিশুসহ ২১ হাজার ৫২২ জন আশ্রয় নিয়েছেন। এছাড়া এসব আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে পৃথক ব্যবস্থায় ২১ হাজার ১০২টি গবাদি পশুও রাখা হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, বন্যার শুরু থেকে রবিবার (১৯ জুন) পর্যন্ত সিলেটের ১৩ উপজেলায় উদ্ধার, ত্রাণ কার্যক্রমে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি সেনা ও নৌবাহিনী, বিজিবি, ফয়ার সার্ভিস, পুলিশ ও সিসিকসহ বিভিন্ন দফতর কাজ করে। এছাড়া বন্যা কবলিত এলাকায় ১৪০টি মেডিক্যাল টিমও কাজ করে যাচ্ছে। বন্যা কবলিতদের মধ্যে খাবার পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করা হয়।
এছাড়া বন্যা কবলিত এলাকায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চারটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট বসিয়ে বন্যার্তদের মধ্যে সুপেয় পানি সরবরাহের কাজ চলছে।
এছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৩টি উপজেলায় ৬১২ মেট্রিক টন চাল, ৪২ লাখ টাকা ও শুকনো খাবার সাত হাজার ৯০০ বস্তা বিতরণ করা হয়। এসবের পাশাপাশি বন্যার্তদের মধ্য মুড়ি, চিড়া, গুড়, মোমবাতি, মেস ও ওয়ারস্যালাইনও বিতরণ করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মজিবুর রহমান। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বন্যার্তদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে কাজ করা সম্ভব হয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, সিলেটের ১৩ উপজেলায় ৩৫৮টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন নারী, পুরুষ ও শিশুসহ ২১ হাজার ৫২২ জন। এছাড়া কেন্দ্রগুলোতে পৃথক ব্যবস্থায় ২১ হাজার ১০২টি গবাদি পশু রাখা হয়েছে।