টানা বৃষ্টি ও মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের নিম্নাঞ্চলে দ্বিতীয় দফায় বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যায় জেলার অধিকাংশ স্কুল- কলেজ পানিতে ডুবে গেছে। ইতোমধ্যে সুরমা, পিয়াইন ও কুশিয়ারাসহ জেলার সব নদীর পানি বেড়েছে।
এদিকে সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় শঙ্কার মধ্যে পড়েছেন এসএসসি পরীক্ষার্থীরা। সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এবারের অনুষ্ঠিতব্য পরীক্ষা আরও এক মাস পেছানোর দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে সিলেটের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান ড. রমা বিজয় সরকার বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে সিলেটে বন্যা পরিস্থতির অবনতি হয়েছে। বিষয়টি অমরা মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছি। সিদ্ধান্ত আসার পর বিস্তারিত জানা যাবে।
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের এসএসসি পরীক্ষার্থী আবু রায়হান বলেন, বন্যায় আমরা খুবই কষ্টে আছি। চারদিকে পানি আর পানি। পড়াশোনা করা সম্ভব হচ্ছে না। বন্যা পরিস্থিতিতে আমাদের দ্বারা পরীক্ষায় বসা সম্ভব না। তাই পরীক্ষার তারিখ পেছানোর দাবি জানাই। অন্যথায় আমাদের মারাত্মক ক্ষতিতে পড়তে হবে।
এদিকে, নদীর পানি উপচে সিলেট সদর, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, কানাইঘাট, বিয়ানীবাজার ও জৈন্তাপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে লাখো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। হু হু করে পানি বাড়ায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন স্থানীয়রা। পানিতে নিম্নাঞ্চলের বাড়িঘর, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ডুবে গেছে।
সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকায় পানি প্রবেশ করায় বাসিন্দারা বাড়ি-ঘর ছেড়ে আত্মীয়দের বাড়ি ও বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে আশ্রয় নিয়েছেন।