সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যাকবলিত ৭৪৮টি বিদ্যালয়, আশ্রয়কেন্দ্র ৩৭৪
বাংলাদেশ

সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যাকবলিত ৭৪৮টি বিদ্যালয়, আশ্রয়কেন্দ্র ৩৭৪

টানা বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে দ্বিতীয় দফায় সিলেটে বন্যাকবলিত হয় প্রায় পাঁচশ বিদ্যালয়। বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হতে অনেকটা বিলম্ব হবে এবার। সেই সঙ্গে এসব বিদ্যালয়গুলোতে দ্বিতীয় দফার বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কা রয়েছে।

এবারের বন্যায় সিলেট নগরের ২৩টি ওয়ার্ডসহ ১৩টি উপজেলায় বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সকাল পর্যন্ত ৯ লাখ ৫৭ হাজার ৪৪৮ জন বন্যায় আক্রান্ত হন। এর মধ্যে প্রস্তুতকৃত ৬৯৮টি আশ্রয়কেন্দ্রের মধ্যে ৩৬১টিতে আশ্রয় নিয়েছেন ২১ হাজার ৭৮৬ জন। এদিকে, দ্বিতীয় দফায় সিলেটে ৪৮৯টি বিদ্যালয় বন্যাকবলিত হয়েছে। এর মধ্যে ২২৬টি বিদ্যালয়ে বন্যার্তদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এ ছাড়া সুনামগঞ্জ জেলায় বন্যাকবলিত হয়েছে ২৫৯টি বিদ্যালয়। এর মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে ১৪৮টি বিদ্যালয়।

বিভাগীয় শিক্ষা অফিস সিলেটের উপপরিচালক মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন জানান, এবারের বন্যার ধরন মারাত্মক। সিলেট ও সুনামগঞ্জে সবচেয়ে বেশি বিদ্যালয় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ কত তা বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না। তবে এবার ক্ষতির পরিমাণ বেশি হবে।

তিনি বলেন, ‘বন্যায় আক্রান্ত বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে অনেকটা সময় লেগে যেতে পারে। সবকিছু নির্ভর করছে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির ওপর। আমরা আমাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। সিলেটে ৪৮৯টি বিদ্যালয় বন্যাকবলিত হয়েছে। এর মধ্যে ২২৬টি বিদ্যালয়ে বন্যার্তদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এ ছাড়া সুনামগঞ্জ জেলায় ২৫৯টি বিদ্যালয় বন্যাকবলিত হয়েছে। এর মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে ১৪৮টি বিদ্যালয়।’

বিভাগীয় শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, ১৩টি উপজেলা নিয়ে সিলেট। সব উপজেলা মিলিয়ে এক হাজার ৪৭৭টি বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে বন্যাকবলিত হয়েছে ৪৮৯টি বিদ্যালয়। আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে ১৩ উপজেলার ২২৬টি স্কুল। বন্যাকবলিত বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে সিলেট সদরে ৩৬, বিশ্বনাথে ৩২, বালাগঞ্জে ৪৮, ফেঞ্চুগঞ্জে ১৬, গোলাপগঞ্জে ২৫, বিয়ানীবাজারে ২৪, জকিগঞ্জে ১২, কানাইঘাটে ৫৬, জৈন্তাপুরে ২৭, গোয়াইনঘাটে ১০৩, কোম্পানীগঞ্জ ৬৮, দক্ষিণ সুরমা ১২ ও ওসমানীনগর উপজেলায় ৩০টি বিদ্যালয় বন্যাকবলিত হয়।

এবারের বন্যার ধরন মারাত্মক

আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে সিলেটের এই ১৩ উপজেলার ২২৬টি বিদ্যালয় ব্যবহৃত হচ্ছে। এর মধ্যে সিলেট সদরে ১৪, বিশ্বনাথে ২১, বালাগঞ্জে ১৯, ফেঞ্চুগঞ্জে ১৩, গোলাপগঞ্জে ১৪, বিয়ানীবাজারে ২২, জকিগঞ্জে ৬, কানাইঘাটে ১৯, জৈন্তাপুরে ১০, গোয়াইনঘাটে ২২, কোম্পানীগঞ্জ ৩৩, দক্ষিণ সুরমা ১৩ ও ওসমানীনগর উপজেলায় ২০টি বিদ্যালয়।

এ ছাড়া ১১টি উপজেলা নিয়ে গঠিত সুনামগঞ্জ জেলা। এ সকল উপজেলায় রয়েছে এক হাজার ৪৭৫টি বিদ্যালয়। এর মধ্যে বন্যাকবলিত ২৫৯টি বিদ্যালয়। আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে ১১ উপজেলার ১৪৮টি বিদ্যালয়। বন্যাকবলিত বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে সুনামগঞ্জ সদরে ২০, দোয়ারাবাজারে ৭০, বিশ্বম্ভরপুর ২৬, ছাতক ৫১, তাহিরপুর ১১, জামালগঞ্জ ২৬, ধর্মপাশা ৪, শাল্লা ২০, দিরাই ২, জগন্নাথপুর ২৩ ও শান্তিগঞ্জ উপজেলায় ৬টি বিদ্যালয় রয়েছে।

আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে সুনামগঞ্জের ১১ উপজেলার ১৪৮টি বিদ্যালয় ব্যবহৃত হচ্ছে। এর মধ্যে সুনামগঞ্জ সদরে ১৫, দোয়ারাবাজারে ৪০, বিশ্বম্ভরপুর ১২, ছাতক ২৩, তাহিরপুর ৩, জামালগঞ্জ ১৫, ধর্মপাশা ২, শাল্লা ৫, দিরাই ৮, জগন্নাথপুর ১৪ ও শান্তিগঞ্জ উপজেলায় ১১টি বিদ্যালয় রয়েছে।

Source link

Related posts

পাহাড়ের এক উপজেলায় ৯ হাজার মানুষ পানিবন্দি, রান্না করে খাবার দিচ্ছে বিএনপি

News Desk

করোনায় আরও ৬০ জনের মৃত্যু, শনাক্ত প্রায় ৪ হাজার

News Desk

দুই ছেলের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন ফজলে রাব্বী মিয়া

News Desk

Leave a Comment