সিলেটে উন্নয়ন কাজের প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা ফেরত যাচ্ছে। নির্ধারিত সময় জুনের মধ্যে উন্নয়ন কাজ শেষ করতে না পারায় এসব অর্থ ফেরত দেওয়া হচ্ছে। এডিপির কাজ বাস্তবায়ন করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। চলতি অর্থবছরে সিলেট সদর উপজেলায় ৯০ লাখ, দক্ষিণ সুরমায় ৯০ লাখ, ফেঞ্চুগঞ্জে ৭৫ লাখ, বালাগঞ্জে ১ কোটি ১৩ লাখ ও ওসমানী নগর উপজেলায় ৮৫ লাখ টাকা এডিপি থেকে বরাদ্দ দেওয়া হয়। এই টাকা দিয়ে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প গ্রহণ করে। টেন্ডারের কাজও শেষ করা হয়েছে। এমন অবস্থায় ২৬ এপ্রিল অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা পরিপত্রে নতুন কোনো পূর্ত কাজের কার্যাদেশ না দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
সিলেট সদর উপজেলা প্রকৌশলী সাইফুল আজম বলেন, এডিপির ৯০ লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়েছি, প্রকল্পও নিয়েছি। অনেকগুলো প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হয়েছে। যদি নতুন কোনো পরিপত্র না আসে তাহলে কাজ করা যাবে না। সেক্ষেত্রে টাকাগুলো ফেরত যাবে। দক্ষিণ সুরমা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল হক বলেন, এটি জাতীয় নির্দেশনা। পরিপত্র অনুযায়ী নির্দেশনার আলোকেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এ ব্যাপারে সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজি এমদাদুল ইসলাম বলেন, নির্দেশনাতো দেওয়াই আছে, এটা সবার জন্য একই নির্দেশনা। অপর এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, আমার করার কিছু নেই এটি অর্থ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ।
ভুক্তভোগীরা বলেছেন, সামান্য অজুহাতে সিলেটের মানুষের উন্নয়নের এতবড় ক্ষতি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। দক্ষিণ সুরমা উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের আলাই মিয়া বলেন, ৪০ বছর থেকে আমাদের গ্রামের রাস্তাটির কোনো উন্নয়ন হয়নি। ছব্দূল গ্রামের রাস্তাটি মেরামতের জন্য প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। কিন্তু উপজেলা থেকে টেন্ডার হওয়ার পর কাজ হচ্ছে না। তবে সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রকৌশলীরা বলছেন, শিগগিরই নতুন সিদ্ধান্ত আসতে পারে। নির্দেশনা পেলেই দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শুরু করতে পারব।