‘সুন্দরবনকে বাঁচান, বাংলাদেশ হাসুক’ এই প্রতিপাদ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) সুন্দরবন দিবস পালন করা হয়েছে। দিনভর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে দিনটি পালন করে চবির সাতক্ষীরা জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতি।
সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে এই প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন শুরু হয়। এতে ফুটিয়ে তোলা হয় সুন্দরবনের গুরুত্ব ও জীববৈচিত্র্য। বিকাল ৪টা পর্যন্ত প্রদর্শনী চলে। এর আগে বেলা ১২টার দিকে একটি র্যালিরও আয়োজন করা হয়।
এ সময় সংগঠনটির উপদেষ্টা ও উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. শেখ বখতিয়ার উদ্দীন বলেন, ‘সুন্দরবন হচ্ছে বিশ্বের একমাত্র ম্যানগ্রোভ বন। কেউ চাইলেই এই বন সৃষ্টি করতে পারবে না। তাই সুন্দরবন সংরক্ষণ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সাধারণ মানুষ ও সরকারের আরও সহযোগিতামূলক আচরণ করতে হবে।’
সংগঠনের সভাপতি শরীফ মহিউদ্দিন বলেন, ‘২০০২ সালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দিবসটির যাত্রা শুরু হয়। কিন্তু আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষই সুন্দরবন দিবস সম্পর্কে জানেন না। এই দিনটা উদযাপন করার মূল উদ্দেশ্য সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা। সরকারের কাছে দাবি, দিনটিকে জাতীয় সুন্দরবন দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে দেশব্যাপী উদযাপনে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক।’
সমিতির অর্থ সম্পাদক সাঈদ হাসান বলেন, ‘সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সুন্দরবন তীরবর্তী অঞ্চলে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারকে আরও সচেতন হতে হবে। রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বা এ ধরনের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে পরিবেশবাদীদের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানাই।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন– দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. কোরবান আলি এবং মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বিপ্লব কুমার দে।