নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চর জুবিলী ইউনিয়নে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রাতে নিজ বাড়িতে পৈশাচিক নির্যাতনের শিকার হন এক নারী। অভিযোগ ওঠে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দেওয়ায় স্বামী-সন্তানদের বেঁধে রেখে তাকে সংগবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছিল। তখন ঘটনাটি সারা দেশে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়।
বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) জেলার সুবর্নচর উপজেলার চরজুবলি ইউনিয়নের নির্বাচনে মধ্য চরবাগ্যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আবারও ভোট দেন সেই নারী। এবারও তিনি নির্বাচনে ভোট দিয়ে হুমকির শিকার হয়েছেন। নির্বাচনের এক সদস্য প্রার্থী তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন ওই নারী।
ভুক্তভোগী নারী জানান, এবারও চর জুবলি ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ফুটবল প্রতীকের মেম্বার পদপ্রার্থী আবদুল মালেক কন্ট্রাক্টর ভোটের আগে তার পক্ষে কাজ না করায় ভোটের পরে তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। আতঙ্ক এবং উৎকণ্ঠা নিয়ে তিনি এসেছেন ভোট দিতে। পছন্দের প্রার্থীকে ভোটও দিয়েছেন। ভোট দেওয়ার সময় তাকে কেউ কোনও বাধা দেয়নি। তবে ভোটের পর পরিস্থিতি কী হবে, তা নিয়ে বেশ ভয়ে আছেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে সদস্য প্রার্থী আবদুল মালেক কন্ট্রাক্টর বলেন, আমিও বিএনপি করি। সেও (ভুক্তভোগী নারী) বিএনপি করে। আমি কেন তাকে হুমকি দেবো? সে তো আমার দলের লোক। এটা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। আমি তাকে কোনও হুমকি দেইনি।
অভিযুক্ত আবদুল মালেক চরজুবলি ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত সফর আলীর ছেলে। তিনি নির্বাচনে ফুটবল প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম পিপিএম বলেন, ওই নারীকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে, আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।