কক্সবাজারের হিমছড়ি সৈকতে গতকাল শুক্রবার ভেসে আসা মৃত তিমিটি গভীর রাতে বালুচরে পুঁতে ফেলা হয়েছে। তবে দুই মাস পর ওই জায়গা থেকে তিমির কঙ্কাল সংগ্রহ করে গবেষণার জন্য সংরক্ষণ করা হবে। তত দিন যেখানে মৃত তিমি পুঁতে ফেলা হয়েছে, সেটা দেখভাল করবে কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগ ও সামুদ্রিক গবেষণা কেন্দ্র।
আড়াই টন ওজনের নীল তিমিটির শরীর থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল। গতকাল সকালে জোয়ারের পানিতে ভেসে আসে অন্তত ৪০ ফুট লম্বা এই তিমি। এর শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমিন আল পারভেজ বলেন, মৃত তিমিটি দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল। তাই গতকাল গভীর রাতে মাছটি হিমছড়ি সৈকতের বালুচরে পুঁতে ফেলা হয়েছে। জায়গাটি চিহ্নিত করা আছে। দুই মাস পর ওই জায়গা থেকে তিমির কঙ্কাল সংগ্রহ করে গবেষণার জন্য সংরক্ষণ করা হবে।
হিমছড়ি পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক (ইনচার্জ) মিজানুল হক বলেন, গতকাল সকালের জোয়ারে তিমিটি উপকূলে ভেসে আসে। দুপুরে জোয়ারের পানি সরে গেলে তিমিটির পুরো শরীর দৃশ্যমান হয়। বিকেল চারটার দিকে আবার জোয়ার হলে তিমিটি সাগরে ভেসে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল, তখন মাছটির মাথা ও লেজে মোটা রশি বেঁধে আটকানো হয়। গভীর রাতে ভাটা শুরু হলে মাছটি কেটে টুকরো করে বালুচরে পুঁতে ফেলা হয়। কারণ, মাছটির শরীর থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল।
সামুদ্রিক মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আশরাফুল হক বলেন, অন্তত ১০ থেকে ১৫ দিন আগে তিমিটির মৃত্যু হতে পারে। এটি নীল তিমি। এ তিমির দাঁত থাকে না। গতকাল রাতে মৃত তিমির শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে এলে বলা যাবে, তিমির মৃত্যু কীভাবে হয়েছে।
মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, তিমিটির বয়স আনুমানিক ২০ বছর হতে পারে। তিমিটি লম্বায় ৪০ ফুট, প্রস্থ প্রায় সাত ফুট। এর চামড়া পচতে শুরু করেছিল। দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল।